প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম. জে. আকবর (MJ Akbar) পাকিস্তানকে “সাপ” বলে কটাক্ষ করলেন। তিনি (MJ Akbar) বলেন, “পাকিস্তান কথা বলে বিষমাখা এবং দ্বিমুখী জিভে। তারা আলোচনার ডাক দেয়, কিন্তু সেটি নিছক Bluff।”
ডেনমার্কে বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদের নেতৃত্বাধীন এক প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আকবর (MJ Akbar) বলেন, “পাকিস্তান সরকার দ্বিমুখী। আমরা তাদের কোন মুখের সঙ্গে কথা বলব? তাদের জিভ দ্বিখণ্ডিত — আমরা কার ভাষা শুনব? এরা বিষাক্ত ভাষায় কথা বলে — বিষে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কে? সাপ নিজের বিষে মরে না।”
এই মন্তব্য ভারত সরকারের ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রেক্ষিতে করা হয়েছে, যেখানে ১০ মে পাকিস্তানে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১১টি শত্রুপক্ষের বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয় (MJ Akbar)। ওই হামলার পর পাকিস্তানের তরফে আলোচনার প্রস্তাব আসে, যাকে আকবর “নকল অনুরোধ” বলে কটাক্ষ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা যেসব বিষয় সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ, শুধু সে বিষয়েই কথা বলব। সময় নষ্ট করব না। পাকিস্তান সবসময় আলোচনার নামে সময় নেয় পরবর্তী সন্ত্রাসের প্রস্তুতির জন্য। এই আলোচনা আসলে একটি ছলনা।”
এম. জে. আকবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে বলেন, “একমাত্র মোদীজি-ই পাকিস্তানের bluff ফাঁস করেছেন। এমন একজন নেতা এর আগে ছিল না, যিনি এমন জিনগত সমস্যাগ্রস্ত একটি দেশকে জোরালোভাবে জবাব দিতে পেরেছেন।”
এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, পুরানদেশ্বরী, সামিক ভট্টাচার্য, শিবসেনা (UBT) সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, কংগ্রেসের গুলাম আলি খাতানা ও অমর সিং এবং রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ সরণ।
অপারেশন সিন্ধুর পর ভারতের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা হিসেবে এই ধরনের একাধিক প্রতিনিধি দল গঠন করেছে কেন্দ্র সরকার। ওই অভিযানের মাধ্যমে পহেলগামে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাব দেওয়া হয়।