Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • অফবিট
  • “আমি আর পারছি না!”—যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রাষ্ট্রপতির দ্বারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন প্রতিবন্ধী শিক্ষিকার
দেশ

“আমি আর পারছি না!”—যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে রাষ্ট্রপতির দ্বারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন প্রতিবন্ধী শিক্ষিকার

indore teacher
Email :106

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে উঠে এল এক মর্মান্তিক মানবিক আবেদন। সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা (Indore Teacher), কুমারী চন্দ্রকান্তা জেঠানি—যিনি দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন—এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে মৃত্যু অনুরোধ জানালেন।

এক আবেগঘন চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তাঁর (Indore Teacher) শারীরিক যন্ত্রণা এখন আর সহ্য করার মতো নয়। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ধরে তিনি ক্লাস নেন, অথচ তাঁর শরীর ভেঙে পড়ছে। জীবন যেন এক অন্তহীন বেদনার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর কাছে।

জেঠানি (Indore Teacher) দাবি করেছেন, এক চিকিৎসা গাফিলতির কারণেই তিনি আজ এই অবস্থায় পৌঁছেছেন। চিকিৎসার সময় ভুল ওষুধ প্রয়োগ করা হয় তাঁর শরীরে, যার ফলে তিনি স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় এক আশ্রমে, যেখানে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং অবহেলার অভিযোগও তুলেছেন তিনি (Indore Teacher)।

তবে শুধু নিজের সীমাহীন যন্ত্রণা নিয়েই থেমে থাকেননি কুমারী জেঠানি। অসহ্য শারীরিক কষ্ট সত্ত্বেও তিনি নিজের সমস্ত সম্পত্তি সরকারি স্কুলের শিশুদের জন্য দান করেছেন। এমনকি মৃত্যুর পর দেহ ও অঙ্গ দান করার অঙ্গীকারও করেছেন এমজিএম মেডিকেল কলেজে।

তাঁর বক্তব্য, “শরীর আর চলতে চাইছে না। আমি ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। কোনও সরকারি সাহায্য নেই, কেউ পাশে নেই। আমি আর পারছি না। মৃত্যুই একমাত্র মুক্তি।” রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “দয়া করে আমাকে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts