ইন্ডিগোর (Indigo) সাম্প্রতিক বিপর্যয় নিয়ে তীব্র বার্তা দিলেন দেশের বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু। লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাইলট ও ক্রুদের নতুন রোস্টারিং নিয়ম কোনওভাবেই বদলানো হবে না। পাশাপাশি ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
মন্ত্রী জানান (Indigo), দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। কিন্তু তিনি একইসঙ্গে স্পষ্ট করে দেন, কোনও বিমান সংস্থা যত বড়ই হোক না কেন, যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তারা পার পাবে না। পরিকল্পনায় ভুল, নিয়ম না মানা বা আইনের তোয়াক্কা না করলে কঠোর পদক্ষেপই নেওয়া হবে।
ইন্ডিগোর (Indigo) বিপর্যয়ে যখন বিমানবন্দরগুলোতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, তখন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন ইন্ডিগোকে অস্থায়ী ছাড় দেয় নতুন নাইট ডিউটি নিয়ম থেকে। কিন্তু এই অনুমতি নিয়েও তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, ইন্ডিগোর চাপের কাছে মাথা নত করেছে কেন্দ্র, যদিও সংস্থাটি দেশের মোট যাত্রী পরিবহণের দুই-তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণ করে।
মন্ত্রী (Indigo)জানান, রিফান্ড, হারানো লাগেজ খোঁজা ও যাত্রী পরিষেবা—সবকিছুই এখন মন্ত্রকের নজরদারিতে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিগো ৭৫০ কোটি টাকার রিফান্ড প্রক্রিয়া করেছে।
তিনি (Indigo) আরও বলেন, এই পরিস্থিতি দেখিয়ে দিয়েছে, বাজারে মাত্র দুইটি বড় সংস্থা থাকলে বিপদের সম্ভাবনা বাড়ে। তাই সরকার নতুন বিমান সংস্থাকে বাজারে আসতে উৎসাহ দিচ্ছে। এখন দেশে ইন্ডিগোর দখল ৬৫ শতাংশ, আর এয়ার ইন্ডিয়ার ২৭ শতাংশ।
মন্ত্রী ফের স্পষ্ট করেন, বিমানসুরক্ষা কোনওভাবেই আপসযোগ্য নয়। দেশের বিমান পরিষেবায় শক্তিশালী ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করাই সরকারের লক্ষ্য।
ইন্ডিগোকে ইতিমধ্যেই ৫ শতাংশ ফ্লাইট কমাতে বলা হয়েছে। সংস্থার দাবি, টেকনিক্যাল সমস্যা, শীতকালীন সময়সূচি বদল, খারাপ আবহাওয়া, বাড়তি ভিড় এবং নতুন রোস্টারিং নিয়ম মানতে গিয়ে এই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।








