জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৬০তম অধিবেশনের ৫ম বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ভাষণ দিলেন ভারতীয় কূটনীতিক (Indian Diplomat) ক্ষিতিজ ত্যাগী। পাকিস্তানকে সরাসরি “ব্যর্থ রাষ্ট্র” আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “পাহালগাঁও হামলার জবাবে ভারতের (Indian Diplomat) মাপা ও যথাযথ প্রতিক্রিয়াই সব কিছু পরিষ্কার করে দিয়েছে। সন্ত্রাস স্পনসরদের কাছ থেকে আমাদের কোনো শিক্ষা দরকার নেই। সংখ্যালঘু নিপীড়নকারী রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো নীতিকথাও নয়। ভারত তার নাগরিকদের রক্ষায় অটল, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনও আপস করবে না। আর পাকিস্তানের তৈরি ভুয়ো প্রচারকে আমরা বারবার বিশ্বের সামনে তুলে ধরব।”
একই অধিবেশনে ক্ষিতিজ ত্যাগী পাকিস্তানের (Indian Diplomat) নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে বলেন, “পাকিস্তানের নিজের নেতারাই দেশটিকে ডাম্প ট্রাক বলে তুলনা করেছেন। হয়তো অনিচ্ছাকৃত হলেও সত্যিই এটাই সঠিক উপমা—একটি রাষ্ট্র যেটা মিথ্যা আর পুরনো প্রচার দিয়ে এই কাউন্সিলের সামনে বোঝাই হয়ে হাজির হয়। ওআইসি-কে তারা নিজের রাজনৈতিক মুখপত্র বানিয়েছে, ভারতের প্রতি এদের অস্বাভাবিক আসক্তি নাকি তাদের টিকে থাকার একমাত্র উপায়।”
এটাই প্রথম নয়। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মানবাধিকার পরিষদের ৫৮তম অধিবেশনে পাকিস্তানকে (Indian Diplomat) আক্রমণ করে ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেছিলেন, “পাকিস্তান এক ব্যর্থ রাষ্ট্র, যে বেঁচে আছে কেবল আন্তর্জাতিক দানের উপর।” তখন তিনি ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, তাদের নেতৃত্ব আসলে সেনা-সন্ত্রাসবাদী চক্রের নির্দেশ মতো মিথ্যা ছড়ায়। কাশ্মীর ইস্যু বারবার তোলা হয় কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, যার কোনো ভিত্তি নেই।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে ক্ষিতিজ ত্যাগী জাতিসংঘকে স্পষ্ট করে বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গত কয়েক বছরে ওই অঞ্চলের অভূতপূর্ব রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি তার প্রমাণ।”
তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসে ক্ষতবিক্ষত কাশ্মীর আজ নতুন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে। উন্নয়নের স্রোতে সামিল হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ, যা পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারকে বারবার মিথ্যা প্রমাণ করছে।