ফরিদাবাদের একটি সরকারি হাসপাতালে আট মাস ধরে ৫০টিরও বেশি হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করেছেন এক ভুয়া কার্ডিওলজিস্ট (Fake Doctor)! অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ডাঃ পঙ্কজ মোহন শর্মা, যিনি শুধুমাত্র এমবিবিএস ডিগ্রিধারী হয়েও নিজেকে কার্ডিওলজিস্ট দাবি করে গুরুতর হার্ট সার্জারি করে গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে (Fake Doctor)।
পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, ডাঃ শর্মা ‘বদশাহ খান সিভিল হাসপাতাল’-এর হার্ট কেয়ার সেন্টারে কাজ করতেন এবং প্রকৃত কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ পঙ্কজ মোহনের নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে নিজেকে ডিএনবি (কার্ডিওলজি) বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করতেন (Fake Doctor)।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন একজন রোগী চিকিৎসার পর প্রকৃত ডাঃ পঙ্কজ মোহনের সঙ্গে (Fake Doctor) যোগাযোগ করেন। এরপরই হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়।
জানা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে তাকে নিয়োগ দেয় ‘মেডিটারিনা হাসপাতাল’, যারা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে হার্ট সেন্টারটি পরিচালনা করে (Fake Doctor)। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি সেখানে কর্মরত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই ভুয়া স্ট্যাম্প, জাল ডিগ্রি ও অন্য চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর (২৪৫৬) ব্যবহার করে তিনি অস্ত্রোপচার চালিয়ে যান। অথচ তার নিজের এমবিবিএস রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ২৮৪৮২ (Fake Doctor)।
পুলিশ জানায়, ওই সময়ে বহু রোগী জটিলতায় ভুগেছেন এবং কয়েকজনের মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে। একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। এর মধ্যে অন্যতম অভিযোগকারী হলেন সমাজকর্মী ও আইনজীবী সঞ্জয় গুপ্ত, যিনি ১১ এপ্রিল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
আসল ডাঃ পঙ্কজ মোহন জানুয়ারিতে চিকিৎসা পরিষদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন এবং ভুয়া চিকিৎসক শর্মাকে আইনি নোটিশ পাঠান।
হাসপাতালের কর্মকর্তারা এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি ঠিক কতজন রোগী ওই ভুয়া চিকিৎসকের হাতে চিকিৎসা পেয়েছেন বা অস্ত্রোপচার করিয়েছেন। তবে বহু রোগীর আত্মীয়স্বজন অভিযোগ তুলেছেন। তাদের মধ্যে একজন, পলওয়াল জেলার রাজা রাম, অভিযোগ করেন যে তার বাবা ১০ জানুয়ারি শর্মার দ্বারা স্টেন্ট বসানোর পরদিন মারা যান।
এ বিষয়ে যখন ফরিদাবাদের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডাঃ জয়ন্ত আহুজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে হার্ট সেন্টারের চেয়ারম্যান ডাঃ প্রতাপ কুমার জানান, শর্মা সঠিক প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ফরিদাবাদ এনআইটি থানায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলমান এবং শিগগিরই উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।