মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে (Eknath Shindey) জলগাঁও বিমানবন্দরে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়, কারণ তিনি নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে রাত ৯টা ১৫ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাইলট নির্ধারিত কর্মঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ায় বিমান ওড়াতে রাজি হননি।
প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে মন্ত্রী গিরিশ মহাজন, গুলাবরাও পাটিল এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পাইলটকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে আলোচনা ফলপ্রসূ হয় এবং বিমান উড়ে যায়।
এই পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক অভাবনীয় ঘটনার সূত্রপাত হয়। কিডনি চিকিৎসার জন্য মুম্বই পৌঁছাতে মরিয়া এক মহিলা, শীতল পাটিল, তার নির্ধারিত ফ্লাইট মিস করে জলগাঁও বিমানবন্দরে আটকে পড়েছিলেন। এই অবস্থায় গিরিশ মহাজন তার অবস্থা জানতে পেরে, তাকে এবং তাঁর স্বামীকে শিন্ডের (Eknath Shindey) সঙ্গে একই ফ্লাইটে মুম্বই পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ঘটনার কথা স্মরণ করে গিরিশ মহাজন বলেন, “একনাথ শিন্ডে (Eknath Shindey) তার সংগ্রামের দিনগুলি ভুলে যাননি। সাধারণ মানুষের প্রতি তার সংবেদনশীলতা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
এই ঘটনা প্রমাণ করে, রাজনীতি ও প্রশাসনের ব্যস্ততার মধ্যেও মানবিকতা এখনও বেঁচে আছে।