দাম্পত্য জীবনে যৌন অসন্তুষ্টি থেকে জন্ম নিল মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। দিল্লির (Delhi) নেহাল বিহার থানা এলাকার এক গৃহবধূকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে নিজের স্বামীকে ছুরিকাঘাত করে খুন করার অভিযোগে (Delhi) । পুলিশের দাবি, স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে তীব্র অস্বস্তি ও অসন্তোষ ছিল ওই নারীর। আর সেই কারণেই পরিকল্পনা করে খুন করেন তিনি। তদন্তে উঠে এসেছে এমন একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য, যা রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে তদন্তকারীদের (Delhi) ।
২০ জুলাই বিকেল ৪টা ১৫ নাগাদ দিল্লি পুলিশ একটি স্থানীয় হাসপাতাল থেকে ফোন পায় (Delhi) । হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, এক মহিলা তাঁর স্বামীকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন (Delhi) । তাঁর শরীরে একাধিক ছুরির কোপের চিহ্ন ছিল। হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তি, যাঁর নাম মোহাম্মদ শাহিদ।
হাসপাতালে পৌঁছে পুলিশকে প্রথমে মহিলা জানান, শাহিদ আত্মহত্যা করেছেন, নিজেই নিজের বুক লক্ষ্য করে ছুরি চালিয়েছেন (Delhi) । কিন্তু পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে পৌঁছতেই পুরো ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, ছুরির কোপগুলো সামনে থেকে আঘাত করা এবং আত্মহত্যার কোনও লক্ষণ নেই। এর পরই পুলিশ হত্যা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
তদন্তের সময় ওই মহিলার মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখে পুলিশ। দেখা যায়, গুগলে বারবার খোঁজা হয়েছে— “কীভাবে চ্যাট ইতিহাস মুছতে হয়”, “অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড (সালফস) খেলে কী হয়”, “প্রাণঘাতী বিষাক্ত পদার্থ” ইত্যাদি। এই প্রমাণের মুখোমুখি করতেই শেষমেশ নিজের অপরাধ স্বীকার করেন ওই নারী।
তিনি জানান, স্বামীর সঙ্গে শারীরিক জীবনে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। সেই কারণেই একাধিকবার তার মৃত্যু নিয়ে পরিকল্পনা করেন। শেষে ছুরি দিয়ে তিনবার শাহিদের বুকে আঘাত করেন তিনি। এরপর নিজেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আত্মহত্যার গল্প সাজিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনার পর থেকেই তদন্তে নেমেছে দিল্লি পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, ওই মহিলার সঙ্গে কার এমন চ্যাট ছিল যার কারণে সে ডিজিটাল প্রমাণ মুছে ফেলার উপায় জানতে চেয়েছিল। ইতিমধ্যেই খুনে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার হয়েছে। ধৃত মহিলা বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন এবং গোটা ঘটনার নেপথ্যে আরও কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে।