ভাষাকে (Marathi) কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মহারাষ্ট্রের এক কলেজ চত্বর। নাভি মুম্বইয়ের ভাসি অঞ্চলের একটি কলেজে মারাঠি ভাষায় লেখা একটি বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র বিতরণের পর চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, সেই নিমন্ত্রণপত্র দেওয়া ঘিরেই শুরু হয় বচসা, যা পরে রূপ নেয় ভয়াবহ হিংসায়। এক ২০ বছরের মারাঠি ছাত্রকে হকি স্টিক দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে (Marathi) ।
ঘটনার সূত্রপাত এক মারাঠি (Marathi) ছাত্র তার সহপাঠীদের মধ্যে একটি বিয়ের কার্ড বিলি করছিল। সেই কার্ডটি ছিল মারাঠি ভাষায় লেখা। কিছু ‘অ- মারাঠি’ ছাত্র এতে আপত্তি তোলে এবং তা নিয়েই শুরু হয় বিবাদ। অভিযোগ, তারা ভাষার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তীব্রভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে মারাঠি (Marathi) ছাত্রটির উপর চড়াও হয়। বিবাদ চলাকালীন, একজন ছাত্রকে হকি স্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে খবর।
এই ঘটনাকে ঘিরে শিক্ষাঙ্গনে ভাষা-ভিত্তিক বিরোধের এক নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। রাজনীতিও থেমে থাকেনি। ঘটনার পরেই হস্তক্ষেপ করে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (MNS)। দলের নেতা গজানন কালে ভাসি থানায় যান এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।
মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে গজানন কালে বলেন, “এটা শুধুমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় (Marathi)। এটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মারাঠি ও অ-মারাঠি ছাত্রদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “যদি সংসদ সদস্য নিশিকান্ত দুবে-র মতো লোকেরা এই ধরণের ভাষা বিতর্কে ঘি ঢালেন (Marathi), তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তার আঁচ কলেজে পৌঁছবে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।”
এমএনএস দাবি করেছে, এই ধরণের ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে মারাঠি ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতা বিপদের মুখে পড়বে। একটি বিয়ের কার্ড, যা সম্পূর্ণ সামাজিক সৌজন্যের অংশ, তা ঘিরে এমন হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়া গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছে দলটি। তারা প্রশ্ন তুলেছে, “ভাষা কি অপরাধ?”