মেহুল চোকসির মালিকানাধীন বহুল আলোচিত গহনার সংস্থা Gili India Limited-এর বিরুদ্ধে ২০১৪ সালে দায়ের হওয়া বন্ধ করার মামলাটি অবশেষে জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনালে (NCLT) স্থানান্তরের অনুমতি দিল বম্বে হাই কোর্ট (Bombay high Court)। এই মামলায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে একটি ব্যাঙ্ক কনসোর্টিয়াম হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল।
মঙ্গলবার বিচারপতি শর্মিলা ইউ দেশমুখ স্পষ্টভাবে বলেন, এই সংস্থার পুনরুজ্জীবনই কোম্পানি এবং তার স্টেকহোল্ডারদের বৃহত্তর স্বার্থে উপযোগী হবে। আদালত জানায়, ইনসোলভেন্সি ও দেউলিয়া বিধি (IBC) অনুযায়ী কোম্পানির পুনর্জীবনের সুযোগ দেওয়া উচিত, কারণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেলে তা ‘সিভিল মৃত্যু’ ছাড়া কিছুই নয় (Bombay high Court)।
২০১৮ সালে Anchal Collections Ltd-এর করা একটি মামলায় হাই কোর্ট (Bombay high Court) Gili India Ltd-কে বন্ধ করার নির্দেশ দেয় এবং একজন অফিসিয়াল লিকুইডেটর নিয়োগ করা হয়। তবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া পিএনবি-সহ একাধিক ব্যাঙ্ক পরবর্তীকালে দাবি জানায়, কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রচুর আর্থিক জালিয়াতি হয়েছে, যার তদন্ত চলছে সিবিআই, ডেবটস রিকভারি ট্রাইব্যুনাল এবং NCLT-এ।
পিএনবি-র হয়ে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী পায়েল উপাধ্যায় ও অনন্ত উপাধ্যায়। তারা যুক্তি দেন, তারা যেহেতু secured creditor, তাই IBC-র আওতায় দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে NCLT অনেক বেশি কার্যকর হবে। তারা আরও জানান, ২০১৮ সালের বন্ধের আদেশের পর এখনও পর্যন্ত কোনও ‘irrevocable step’ নেওয়া হয়নি, তাই মামলাটি ট্রাইব্যুনালে পাঠানো যেতেই পারে।
আদালতে (Bombay high Court) থাকা সরকারি লিকুইডেটরও এই স্থানান্তরের বিরোধিতা করেননি।
অবশেষে বিচারপতি দেশমুখ বলেন, “একটি কোম্পানিকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে তা শুধু তার আইনি মৃত্যু ডেকে আনে। কিন্তু IBC-এর কাঠামো তার মধ্যে পুনর্জন্মের সম্ভাবনা এনে দিতে পারে।” আদালত নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত নথিপত্র ও মামলার দলিল তড়িঘড়ি করে মুম্বই NCLT-তে পাঠাতে হবে।
