মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাজুড়ে ফের রক্তাক্ত রাজনৈতিক সংঘর্ষ। ভরতপুরে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রেজিনগরে খুন হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি প্রতীত পাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী তার উপর হামলা চালায় (Murshidabad)। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে রেজিনগর এলাকায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন প্রতীত পাল (Murshidabad)। টোটো করে রেজিনগরের উত্তর কলোনি এলাকায় ফিরছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। এরপর শাবল ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মাথা এবং শরীরের একাধিক জায়গায় গুরুতর আঘাত পান তিনি (Murshidabad)।
স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যান মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। তবে শেষরক্ষা হয়নি—শুক্রবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী প্রতীত পালের।
ঘটনার পর ছয়জনের নামে রেজিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মঞ্জুর শেখ। তিনি বলেন, “প্রতীত আমাদের বুথ সভাপতি ছিলেন। সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করেই ওঁকে খুন করা হয়েছে। টোটো করে ফিরছিলেন, তখনই ওঁর উপর হামলা হয়। শাবল দিয়ে মাথায় মারে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি। মৃত্যুর আগে কয়েকজন দুষ্কৃতীর নাম বলে গিয়েছেন প্রতীত।”
অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ মানা হয়নি। বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “এই জুলাই মাসেই তৃণমূলের ছ’জন কর্মী খুন হয়েছেন। কিন্তু সব ঘটনায় যদি তৃণমূল নিজেই জড়িয়ে পড়ে, তাহলে বিজেপিকে দোষারোপের কোনো মানে হয় না। রেজিনগরে এখনও বিজেপির সংগঠন তেমন শক্তিশালী নয়। কাজেই আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে মারার চিন্তাভাবনাও নেই। বরং নিজেরা বিভাজনের রাজনীতিতে মেতে গিয়েই এই ঘটনার জন্ম দিচ্ছে তৃণমূল।”
এদিকে টানা কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনায় ধীরে ধীরে জ্বলতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় দোষীদের ধরতে অভিযান চলছে।