আবারও সাহসিকতার চরম নিদর্শন! বুধবার ভোররাতে শিলিগুড়ির (Siliguri) ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন একটি ব্যাঙ্কের এটিএম লুট করে চম্পট দিল একদল দুষ্কৃতী। পুরো ঘটনায় গোটা এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে চাঞ্চল্য, আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৪ লক্ষ (Siliguri) টাকা লুঠ করে পালিয়েছে আততায়ীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ, তবে এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি কেউ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভোর প্রায় সাড়ে তিনটে নাগাদ একটি গাড়িতে চেপে আসে বেশ কয়েকজন যুবক (Siliguri) । প্রত্যেকের মুখ গামছা দিয়ে ঢাকা ছিল। পরিকল্পনা ছিল নিখুঁত—সিসিটিভি ক্যামেরার লেন্সে কালো রং স্প্রে করে পুরো ঘটনাটিকে ‘অদৃশ্য’ করার চেষ্টা করে তারা (Siliguri) । এরপর এটিএমের ভিতরে ঢুকে দ্রুতগতিতে টাকা লুঠ করে গা ঢাকা দেয়।
চোখে ধুলো দিতে গিয়ে একটি চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে—প্রথমে পাঁচজনের মধ্যে চারজন গাড়িতে উঠে পড়ে, কিন্তু এক জনকে ফেলে চলে যাচ্ছিল তারা (Siliguri) ! পরে আবার ফিরে এসে তাকেও গাড়িতে তোলে। এরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যদিও ততক্ষণে তারা অনেক দূর চলে গিয়েছে।
ধাওয়া করেও লাভ হয়নি। আততায়ীরা গন্তব্য বদলে মাটিগাড়া এলাকায় মূল গাড়িটি ফেলে দিয়ে অন্য একটি গাড়িতে করে স্থান পরিবর্তন করে (Siliguri) । তদন্তে উঠে এসেছে, লুটে ব্যবহৃত গাড়িটিও ছিল চুরি করা। এই ঘটনার জেরে গাড়ির মালিক অবশেষে তাঁর গাড়ি ফিরে পেলেও, আততায়ীরা এখনও অধরা (Siliguri) ।
এই নিয়ে গত এক মাসে শিলিগুড়িতে এটি তৃতীয় বড়সড় অপরাধ। গত ১৫ জুন প্রধাননগরে একটি এটিএম লুটের ঘটনায় ১০ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। তার ঠিক তিনদিন পর, শহরের ব্যস্ত হিলকার্ট রোডে দুপুরবেলা একটি সোনার দোকানে ভয়ঙ্কর ডাকাতি ঘটে। দু’টি ঘটনারই এখনও কোনও কিনারা হয়নি। এর মধ্যেই ফের একবার একই ধরনের দুঃসাহসিক অপরাধ শহরের বুক চিরে আতঙ্ক সৃষ্টি করল।
শিলিগুড়ির সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, “এই শহরে আর নিরাপত্তা কোথায়? পুলিশ ঠিক কী করছে?” একের পর এক অপরাধে পুলিশি ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
পুলিশ অবশ্য আশ্বস্ত করেছে, এই ঘটনাতেও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার তদন্তে একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ ও চুরি যাওয়া গাড়ির সূত্র ধরেই অভিযান চলছে।