রাজপুর (Rajpur) সোনারপুরে শুল্ক বিভাগের অফিসার প্রদীপ কুমারের উপর নৃশংস হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। অভিযোগ, এক অটোচালকের সঙ্গে গাড়িতে ধাক্কা লাগার পর বচসা থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয় ঘটনাটি। ক্ষুব্ধ হয়ে অটোচালক দলবল নিয়ে অফিসারের আবাসনে ঢুকে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় (Rajpur)। ভাঙচুর করা হয় গেট, মারধর করা হয় অফিসারকে, এমনকি তাঁর স্ত্রীকেও হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতেই ওই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন অটোচালক (Rajpur) আজাদ আলি মণ্ডল, সুরজ আলি মণ্ডল ও অলক মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ধৃতদের বারুইপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। যদিও পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অন্তত ৫০-৬০ জন দুষ্কৃতী ওই আবাসনের সামনে জড়ো হয়ে গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ফুটেজ দেখে মোট আটজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে (Rajpur)।
এই ঘটনার পরেই এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা (Rajpur) জানিয়েছেন, রাতভর আতঙ্কে কাটিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, অভিযুক্তরা এলাকারই অটোচালক চক্রের সঙ্গে যুক্ত এবং আগে থেকেই নানা অসদাচরণে জড়িত ছিল।
অন্যদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় শুল্ক বিভাগের ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমারকে ভর্তি করা হয়েছে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে। সূত্রের খবর, তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে এবং তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আহত আধিকারিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন (Rajpur)। তাঁর দাবি, “এটি রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতা। দিনের পর দিন রাজ্যে সরকারি আধিকারিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন, আর অভিযুক্তরা সহজেই জামিন পাচ্ছেন।”
স্থানীয়দের প্রশ্ন, “যেখানে সরকারি আধিকারিক নিরাপদ নন, সেখানে সাধারণ মানুষ কতটা সুরক্ষিত?”
রাজপুরের এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রতিক্রিয়া। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রশাসনের দুর্বল তদন্ত ও আইনশৃঙ্খলার অবনতিই এই ধরনের দুঃসাহসিক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বাড়ির কলাপসিবল গেট ভেঙে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতীরা। চিৎকার-চেঁচামেচি, ভাঙচুর, এবং হাতাহাতির দৃশ্য যেন রীতিমতো সিনেমার মতো। তবুও, এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর অভিযুক্তদের জামিন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
এই মুহূর্তে, পুলিশ আরও চার অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, যতক্ষণ না মূল চক্রটিকে ধরা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এলাকায় আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।
সোনারপুরের এই ঘটনার পর আবারও সামনে এল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্ন— সরকারি আধিকারিকের বাড়িতে ঢুকে প্রকাশ্যে হামলা, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, অথচ পরদিনই জামিন! রাজপুরের এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ।











