কেন্দ্রের নতুন শ্রম কোড রাজ্যে লাগু করা হবে না—এ কথা আগেই জানিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার (Mamata Banerjee)। এবার সেই আইনের প্রতিলিপি রাজ্যের হাতে পৌঁছতেই নতুন বিতর্ক ছড়াল। নথিতে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নতুন শর্ত যোগ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, এসব শর্ত রাজ্যের প্রতি সরাসরি ‘অসম্মান’। সেই কারণেই কোচবিহারের জনসভা থেকে সরাসরি কাগজটি ছিঁড়ে ফেলেন তিনি (Mamata Banerjee)।
দু’দিনের কোচবিহার সফরে গিয়ে মমতা স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন (Mamata Banerjee)। কিন্তু সবচেয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান এই নতুন শ্রম আইনের বিরুদ্ধে। মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “তিন–চার দিন আগে কেন্দ্র নতুন লেবার কোড নিয়ে নোটিস পাঠিয়েছে (Mamata Banerjee)। ১০০ দিনের কাজে টাকা দিতে নতুন শর্ত চাপিয়েছে। আমরা এসব মানি না, মানব না। এটা অসম্মানের। আমি আজ এই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে দিলাম। এটা কেন্দ্রের আসল নোটিস নয়, আমার নিজের কাগজ—কিন্তু তাদের নোটিসের মতোই।”
এদিকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা বেতন কাঠামো, শ্রমিকদের পারিশ্রমিক ও নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা রয়েছে (Mamata Banerjee)। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের ৪৪টি আলাদা শ্রম আইনকে একত্র করে চারটি নতুন শ্রম কোড তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। সেই আইন নভেম্বর থেকেই কার্যকর হয়েছে। তবে কোনও রাজ্য তা মানবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত রাজ্যের উপরই নির্ভর করে। পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করেছে—নয়া কোড লাগু হবে না। যদিও কিছু বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই নিজেদের মতো নতুন বিধি চালু করেছে।
মমতার দাবি, কেন্দ্রের এই নতুন শর্ত শুধু অন্যায় নয়, রাজ্যের অধিকারেও হস্তক্ষেপ। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কোনওভাবেই কেন্দ্রের চাপ রাজ্য মেনে নেবে না। কোচবিহারের সভায় তাঁর এই কাগজ ছিঁড়ে ফেলার মুহূর্তে উপস্থিত জনতা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে এই মন্তব্য নতুন সংঘাতের আবহ তৈরি করবে।






