বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানায় ফের একবার বাংলাদেশি সন্দেহে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল মালদহের (Maldah) চাঁচল এলাকা। গুরগাঁও পুলিশ আটকে রেখেছে চাঁচল ১ ও ২ নম্বর ব্লকের আটজন শ্রমিককে। তাঁদের মধ্যে চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সায়েদ আলি ও লালটু হোসেন রয়েছেন। অভিযোগ, কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ (Maldah)।
পরিবারের দাবি (Maldah), আধার কার্ড দেখানোর পরেও তাঁদের ছাড়া হয়নি। থানায় নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন — আনেসুর রহমান, আলম আলি, নাজিমুল হক, হবিবুর রহমান, নুর আলম ও মুকুল হোসেন — হরিয়ানা পুলিশের জালে আটকে রয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় প্রবল উৎকণ্ঠায় ভেঙে পড়েছে পরিবার এবং গোটা গ্রাম (Maldah)।
এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া, কিসমতপুর, শ্রীপতিপুর ও মুলাইবাড়ি গ্রামে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, “বাংলা ভাষায় কথা বললেই কি এখন বাংলাদেশি বলে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে?”
মালদহের এক শ্রমিকের পরিজন মৌসুমী খাতুন বলেন, “আমার কাকু রুমে বসে ছিল। হঠাৎ করে পুলিশের গাড়ি এসে বলে, ‘চলো, যেতে হবে’, আধার কার্ড দেখাতেও বলে। কিন্তু বাংলায় কথা বলার জন্যই আমার কাকুকে তুলে নিয়ে যায়।”
এই ঘটনার জেরে ফের রাজনীতির কেন্দ্রে উঠে এল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি নিগ্রহের অভিযোগ। এর আগেও দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল। বাঙালি পরিচয় এবং ভাষা ঘিরে একের পর এক নিগ্রহের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। আর এবার হরিয়ানার ঘটনা সেই ক্ষোভে নতুন মাত্রা যোগ করল।