Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • গলার নলি কাটা! বাড়ির সামনেই মিষ্টির দোকান কর্মীর দেহ উদ্ধার—পরকীয়ার জেরে খুন?
জেলা

গলার নলি কাটা! বাড়ির সামনেই মিষ্টির দোকান কর্মীর দেহ উদ্ধার—পরকীয়ার জেরে খুন?

crime
Email :2

জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ি এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। বাড়ির অদূরে নয়ানজুলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক ব্যক্তির দেহ। মৃতের নাম অমল রায়। স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানের কর্মী ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, অমলের গলার নলি কেটে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে (Jalpaiguri)।

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্র চাঞ্চল্য (Jalpaiguri)। বুধবার সকালে বাড়ির সামান্য দূরে নয়ানজুলিতে অমলের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা (Jalpaiguri)। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অমল রায় ময়নাগুড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা। প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তিনি কাজ শেষে বাড়ি ফিরতেন (Jalpaiguri)। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে তিনি ঠিক কখন বাড়ি ফিরেছিলেন? বা আদৌ ফিরেছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশের অনুমান, হয় বাড়ি ফেরার পথেই অথবা বাড়ি থেকে পরে বেরিয়ে কোথাও গিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে।

খুনের কারণ ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক অশান্তি, নাকি পরকীয়া—সব দিক খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। মৃতের স্ত্রীর ভূমিকাও এখন পুলিশের নজরে। তাঁকে এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

পুলিশের এক আধিকারিক জানান, “মৃতদেহটি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ আরও স্পষ্ট হবে।”

এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে এলাকার মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন, অমল রায়ের মতো নিরীহ একজন মিষ্টির দোকানের কর্মীকে এভাবে গলা কেটে খুন করা হল কেন? ব্যক্তিগত জীবনে কোনও টানাপড়েন ছিল? এলাকার কেউ জড়িত কি না—তা নিয়েও জোর আলোচনা চলছে।

এদিকে পরকীয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে এমন কিছু ইঙ্গিত মিলেছে বলেই জানা যাচ্ছে, যা থেকে এই তত্ত্ব সামনে এসেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, “এটা একেবারে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত খুন। খুনি অমলকে চিনত বলেই মনে হচ্ছে। খুব শিগগিরই অপরাধীকে চিহ্নিত করা যাবে।”

একটি শান্তিপূর্ণ এলাকার মধ্যেই এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন, দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক প্রশাসন।

Related Tags:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts