উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে (Basirhat) এক রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জ থানার ছোট সাহেবখালি গ্রামে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বন্ধ ঘর থেকে। মৃত যুবকের নাম সুব্রত মণ্ডল। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা হতে পারে। তবে স্থানীয়দের সন্দেহ, এর পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র—সম্ভবত খুন।
জানা গেছে, দিন কয়েক আগে স্ত্রী ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। সেই ঘটনা মানসিকভাবে গভীর প্রভাব ফেলেছিল (Basirhat) সুব্রতের উপর। ক্রমে তিনি ভেঙে পড়ছিলেন, মনমরা হয়ে থাকতেন। ঘটনার দিন সুব্রত তাঁর মামার বাড়ি, আম্বেড়িয়া গ্রামে একাই ছিলেন। হরেকৃষ্ণ মণ্ডল, যিনি সুব্রতের মামা, পরিবার-সহ বাড়ির বাইরে ছিলেন (Basirhat)। সোমবার রাতে সেই বাড়িতেই একা থাকেন সুব্রত। কিন্তু পরদিন সকালে বাড়ির লোকজন ফিরে এসে অনেক ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহে পড়েন।
তাৎক্ষণিকভাবে খবর দেওয়া হয় হিঙ্গলগঞ্জ থানায় (Basirhat)। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে এবং দেখতে পায়, সুব্রতের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে ঘরের মধ্যেই। সঙ্গে সঙ্গেই মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। তবে পরিবারের দাবি, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়—এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
এই ঘটনার পর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে নানা গুঞ্জন। কেউ বলছেন—স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ, কেউ বলছেন—বাড়ির বাইরে অন্য কোনও কারণে মানসিক চাপ। তবে সুব্রতের অস্বাভাবিক আচরণ, ঘরে একা থাকা এবং রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু—সব মিলিয়ে জট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ। পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি, তবে তদন্তকারীরা সম্ভাব্য সব দিক খতিয়ে দেখছেন।
এখন দেখার, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কি সত্যি উঠে আসে? আত্মহত্যা না কি এর পেছনে রয়েছে এক গভীর ষড়যন্ত্র?