অশোকনগরে (Ashoknagar) কিডনি পাচার কাণ্ডে এবার ধরা পড়ল এক আইনজীবী। ধৃতের নাম প্রদীপ কুমার বর, বয়স ৩৭। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোণীতে। তিনি মূলত আলিপুর আদালতে প্র্যাকটিস করতেন। পুলিশ জানিয়েছে, কিডনি পাচার চক্রে এর আগে গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই আইনজীবীর নাম উঠে আসে ।
তদন্তে উঠে আসে, ওই আইনজীবী দীর্ঘদিন ধরেই জাল হলফনামা তৈরি করে পাচারকারীদের (Ashoknagar) সুবিধা করে দিতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে অশোকনগর থানায় তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। রাতভর তাঁকে জেরা করা হয়, কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর না পাওয়ায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
অভিযোগ, ওই আইনজীবী ২০১৪ সাল থেকে এই চক্রে যুক্ত। কিডনি দান সম্পর্কিত হলফনামা তৈরির জন্য যেখানে মাত্র ৫০০ টাকা লাগে, সেখানে তিনি ১০ হাজার টাকা করে নিতেন (Ashoknagar) । এই হলফনামায় উল্লেখ থাকত যে, কোনও আর্থিক লেনদেন বা দালাল যুক্ত নেই কিডনি দানে—যা ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা।
পুলিশ জানিয়েছে, হাবরা, অশোকনগর (Ashoknagar) ও আশপাশের এলাকায় যতগুলি কিডনি পাচারের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলির প্রায় সব কটিতেই আলিপুর আদালতের হলফনামা রয়েছে। তদন্তে পুলিশের সন্দেহ আরও গভীর হয়। তারপরই ধৃতদের সূত্র ধরে প্রদীপ কুমার বরকে শনাক্ত করা যায়।
এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। হাবরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুপী মজুমদার ) বলেন, “একজন আইনজীবী কিডনি পাচারে জড়িত—এটা ভীষণ লজ্জার। এটা ঘৃণ্য অপরাধ। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।”