আরসিবি-র নেতৃত্বে না থাকলেও কোয়ালিফায়ার ১-এ পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে আগুন ছড়ালেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁর চোখেমুখে ছিল সেই পুরনো তেজ, সেই অগ্নিময় শরীরী ভাষা—যা গোটা দলকে চাঙ্গা করে তুলল (Virat Kohli)। মাঠে প্রতিটা উইকেটে উল্লাসে ফেটে পড়ছিলেন তিনি, যেন পুরো দলকে জাগিয়ে তুলছেন নিজের আবেগ দিয়ে (Virat Kohli)।
ম্যাচ জেতার মুহূর্তে ডাগআউট থেকে লাফিয়ে উঠে এলেন কোহলি (Virat Kohli), চিৎকার করে উদযাপন করলেন ফাইনালে ওঠার আনন্দ—আরসিবি-র ৯ বছরের অপেক্ষার অবসান। দলকে হাই-ফাইভ, চিৎকার, উন্মাদনা—সব মিলিয়ে যেন ট্রফি জয়েরই ট্রেলার।
জয়ের ঠিক পরেই কোহলি তাকান গ্যালারির দিকে, যেখানে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা চিৎকার করে দলকে উৎসাহ দিচ্ছিলেন। বিরাট (Virat Kohli) আঙুল তুলে দেখালেন—“আর একটা”—একটা ম্যাচ, একটা জয়, আর একটা ইতিহাস!
গোটা স্টেডিয়াম তখন গর্জে উঠেছে RCB RCB করে, পাঞ্জাবের হোম গ্রাউন্ডেও যেন রাজত্ব বিরাটদের।
বিরাট যদিও মাত্র ১২ রান করেই আউট হন কাইল জেমিসনের বলে, কিন্তু তাঁর উপস্থিতি ছায়া ফেলেছিল গোটা ম্যাচে। মাঠে ফিল্ডিংয়ের সময় তাঁর চিৎকার, হাততালি, নির্দেশ—সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষ চাপে পড়ে যায়।
এই ম্যাচে বিরাটের আগুনের সঙ্গেই আলো ছড়ালেন রাজত পাটিদার—দলের ক্যাপ্টেন। বোলিং চেঞ্জ, ফিল্ডিং সেটআপ—সবটা নিখুঁত। শুরু থেকেই পেসে ভরসা রেখেছিলেন পাটিদার, আর সেটা ফলও দেয়।
RCB-র তিন পেসার—ভুবনেশ্বর কুমার, যশ দয়াল ও জশ হ্যাজলউড মিলে পাঞ্জাবের ব্যাটিং লাইনআপ ছিন্নভিন্ন করে দেন। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই চার উইকেট তুলে নেয় বেঙ্গালুরু। এরপর যশ দয়াল ফের ঝাঁপিয়ে পড়ে তুলে নেন নেহাল ওয়াধেরার উইকেট। স্পিনে সুয়াশ শর্মা চেপে ধরেন, তুলে নেন ৩ উইকেট।
পাঞ্জাবের একমাত্র ব্যাটার স্টইনিস ২৬ রান করেন, বাকি সবাই মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। মাত্র ১৪.১ ওভারে ১০১ রানে অলআউট—প্লে-অফ ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর!
আরসিবি-র এতটা পরিকল্পিত ও হিংস্র পারফরম্যান্স দেখে একটাই কথা মনে হয়—এবার হয়তো সেই ১৮ বছরের অপেক্ষা শেষ হবে!
কোহলি মনে করিয়ে দিলেন—“One more”!
