দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) গেলেন, মমতার পাশে বসলেন, ছবিও তুললেন—আর তারপর থেকেই শুরু বিতর্কের ঝড়। দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও তৃণমূল নেত্রী রিঙ্কুকে একসঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা যাওয়ার পর থেকেই গর্জে উঠেছে পদ্ম শিবিরের অন্দরমহল (Dilip Ghosh)।
গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির একাংশের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন দিলীপ। তবে তিনি থামছেন না। স্পষ্টভাষায় নিজের অবস্থান তুলে ধরছেন একের পর এক। এর মাঝেই সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যে জল্পনা আরও গভীর হয়েছে।
শমীক বলেন, “যা ঘটেছে, তা অভিপ্রেত নয়।” দিলীপ ঘোষের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তিনি আমাদের দলের সফলতম সভাপতি ছিলেন, সাংসদ ছিলেন। কী বলবেন, কোথায় যাবেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে দল গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখছে। যা করার, সময় মতো দলই সিদ্ধান্ত নেবে।”
এই প্রসঙ্গে, শুক্রবার টিভি৯ বাংলার এক অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ ফের অকপটে বলেন, “আমার পার্টি হিন্দুদের নিয়ে কথা বলবে, অথচ হিন্দুত্ব থেকে দূরে থাকবে—তা হয় না। আমি পালিয়ে যাই না।” তিনি আরও বলেন, “আমার সভাপতি যদি বলতেন আমি যেন না যাই, তবে যেতাম না। বিজেপিতে কেউ বলতে পারে না মন্দিরে যেও না।”
সবশেষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দেন, “রাজনীতিতে আসার দিন থেকেই আমি লড়ছি—কখনও বাইরে, কখনও ভিতরে। তবে দলের বিরুদ্ধে কখনও লড়িনি।”
এই অবস্থায় শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। প্রশ্ন উঠছে—এবার কি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের পথে বিজেপি?