তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে (Malda)— এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তিনি নিজেই। তাঁর দাবি, মানিকচক (Malda) থেকে ফেরার পথে একটি গাড়ি প্রথমে সামনে এসে ধাক্কা মারে। এরপর বারবার পিছন থেকে ধাক্কা মারার চেষ্টা করে (Malda)। প্রাণভয়ে সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেন বিধায়ক।
শনিবার রাতে মানিকচকের এনায়েতপুরে একটি খেলার অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। ইংরেজবাজার থানা এলাকার মিলকির কাছে আচমকা একটি গাড়ি বিধায়কের গাড়ির সামনে এসে ধাক্কা মারে। কোনওক্রমে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতেই সেই গাড়ি ফের অনুসরণ করতে শুরু করে এবং পিছন থেকে একাধিকবার ধাক্কা মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
বিধায়কের সঙ্গে তখন নিরাপত্তারক্ষীরাও ছিলেন। কোনওরকমে তাঁরা রক্ষা পান। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সাবিত্রী মিত্রের দাবি, এটি ছিল পরিকল্পিত হামলা। তাঁকে প্রাণে মারতেই এই সংঘর্ষের চেষ্টা করা হয়। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং সন্দেহভাজন গাড়িটির খোঁজ চলছে।
মালদহে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হিংসার ঘটনার পর এই ঘটনা নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। কিছুদিন আগেই তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দুলাল সরকারকে তাঁর নিজের দোকানের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনায় তৃণমূলের আর এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, দুলাল সরকাকে খুন করতে বিহারের হিস্ট্রি শিটারকে সুপারি দেওয়ী হয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরে তারা দুলাল সরকারের ওপর নজর রাখছিল বলেও পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে। এরপর মালদায় আরও এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। তাঁকে প্রকাশ্যে খুন করা হয়। প্রথমে গুলি করা হয়। তারপর তাঁকে পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ক্যামেরাও সমস্ত ঘটনা ফুটে উঠেছে। মূল দুষ্কৃতীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। এবার বিধায়কের প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের তরফে তদন্ত জারি রয়েছে, তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কারা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।