পাকিস্তানের বালোচিস্তানে (Pakistan Army) ফের আত্মঘাতী হামলার মতো ঘটনা। এবার বিদ্রোহীদের পাতা ফাঁদে বিস্ফোরণে উড়ে গেল পাক উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Pakistan Army) একটি টহলদারি গাড়ি। মঙ্গলবার বালোচিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সংঘটিত এই আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে সাত জন পাক জওয়ানের (Pakistan Army)।
সূত্রের খবর, একাধিক হামলার পরও পাক সেনা রুখে দিতে পারেনি বালোচ বিদ্রোহীদের হামলা। রবিবারই প্রায় ৩০–৪০ জন সশস্ত্র বিদ্রোহী একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করে পুলিশভ্যান থামিয়ে পাঁচ পুলিশকর্মীকে অপহরণ করেছিল। তার ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের ভয়াবহ বিস্ফোরণ।
বালোচিস্তানে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে পাকিস্তান?
ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই প্রদেশে দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘাতে লিপ্ত পাক সেনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, decades ধরে এই অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কিছুই করেনি কেন্দ্র। বঞ্চনার ফলেই এখানে মাথা চাড়া দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদ।
সবচেয়ে সক্রিয় সংগঠন বালোচ লিবারেশন আর্মি (BLA)। এরাই একের পর এক হামলা চালিয়ে কাঁপিয়ে তুলছে গোটা অঞ্চলকে। ট্রেন ছিনতাই থেকে সেনা কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা—বিগত কয়েক মাসে একাধিক ঘটনায় জর্জরিত ইসলামাবাদ।
আন্তর্জাতিক দিক থেকেও চাপে পাকিস্তান
পহেলগাঁও হামলার জেরে ভারত-পাক সম্পর্ক যখন অগ্নিগর্ভ, সেই সময় বালোচিস্তানে বিদ্রোহীদের এই লাগাতার তৎপরতা নতুন দুশ্চিন্তা হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের জন্য। ইসলামাবাদ সরাসরি অভিযোগ এনেছে ভারতের বিরুদ্ধে—বলে, ভারতের প্রশ্রয়েই সংগঠিত হচ্ছে এই হামলা।
উপসংহার:
বালোচিস্তানে বারবার হামলা এবং সেনার মৃত্যু কেবল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, বরং তা গোটা উপমহাদেশে নিরাপত্তাজনিত অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা সময়ই বলবে—তবে শান্তির আশা ক্রমশ মুছে যাচ্ছে মরুপ্রদেশের আকাশ থেকে।