দিল্লির এক তরুণীর বাবার জন্য চাকরির খোঁজে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Viral Post) আবেদনের পোস্ট মন ছুঁয়ে গেছে লক্ষাধিক মানুষের। বাবার দীর্ঘ কর্মজীবন এবং অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে চার দশকের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে (Viral Post) লিঙ্কডইনে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। পরিবারে আর্থিক সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে বাবার পাশে দাঁড়ানোর এই উদাহরণ সোশ্যাল মিডিয়ায় (Viral Post) প্রশংসার ঝড় তুলেছে।
তরুণীর আবেদন
পোস্টে তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর বাবার পেশাদার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা অত্যন্ত সমৃদ্ধ। অটোমোবাইল শিল্পের পেইন্ট শপ সেগমেন্টে তাঁর বাবা ৩০-৪০ বছর কাজ করেছেন। স্বরাজ মাজদা, মারুতি জয়েন্ট ভেঞ্চার, আলফা কোটেক ইন্ডাস্ট্রি, এবং কেডি ইন্ডাস্ট্রিজের মতো স্বনামধন্য সংস্থায় ম্যানেজার, প্ল্যান্ট হেড, ডিরেক্টর এবং সিইও পদে কাজ করেছেন তিনি।
তরুণী বলেন, তাঁর বাবা অত্যন্ত দক্ষ, বিশ্বস্ত, এবং সহানুভূতিশীল। পোস্টে তিনি লেখেন, “আমার বাবার মতো প্রতিভাবান কর্মী যে কোনও সংস্থার সম্পদ হতে পারেন। তাঁর দক্ষতার কারণে অধীনস্থ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সমীহ আদায় করেছেন তিনি। এমনকি যাঁরা তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁরা অন্য কোম্পানিতে গিয়েও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছেন।”
পরিবারের আর্থিক সংকট
তরুণীর বাবার বর্তমান কোম্পানিতে আর্থিক টালমাটাল চলছে। দীর্ঘ এক বছর ধরে বেতন বন্ধ থাকলেও, বাবার কর্মদক্ষতা এবং নৈতিকতার কারণে তিনি এখনও সেই কোম্পানির সঙ্গেই যুক্ত। তবে পরিস্থিতি আর সহ্য করতে না পেরে নতুন চাকরি খোঁজার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মেয়েটি আবেগঘনভাবে লিখেছেন, “বাবার পরিবার রয়েছে, তাঁর নিজেরও প্রয়োজন রয়েছে। আমি গর্বিত যে তিনি এতদিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করেছেন। তবে এখন তাঁর জন্য নতুন সুযোগ দরকার।”
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার পর, বহু মানুষ এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। একজন মন্তব্য করেন, “আপনি আপনার বাবার গর্ব। আমি নিজেও একজন বাবা, আশা করি আমার মেয়েও এমন পরিস্থিতিতে আমার পাশে দাঁড়াবে।” আরেকজন লেখেন, “সোশ্যাল মিডিয়ার বেশিরভাগ পোস্ট অর্থহীন মনে হতো। তবে আপনার এই পোস্ট আমাকে ভুল প্রমাণ করেছে। সত্যিই অনুপ্রেরণামূলক।”
বাবার প্রতি মেয়ের এই উদ্যোগ একটি বড় বার্তা দেয়। কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা এবং ব্যক্তিগত সম্পর্কের সম্মিলিত গুরুত্বকে তুলে ধরেছে এই ঘটনা। পোস্টটি দেখিয়ে দেয়, সোশ্যাল মিডিয়া শুধুই সময় নষ্টের জায়গা নয়; মানবিক আবেদন ছড়িয়ে দেওয়ার একটি শক্তিশালী মাধ্যমও।