Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • “ওই দু’চারটে সুকান্ত হাওয়া দিয়ে উড়ে যাবে”— কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ‘তুই-তুকারি’ করে বিস্ফোরক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলার রাজনীতি যেন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একের পর এক রাজনৈতিক নেতার মুখ থেকে বেরোচ্ছে এমন মন্তব্য, যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তৃণমূলের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে বাংলাদেশ পাঠানোর মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এরপর SIR ইস্যুতে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে গোলমাল হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালাবে। এই মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)।

শুক্রবার তিনি (Kalyan Banerjee) বলেন, “একটা ভোটারকেও বাদ দিয়ে দেখুক কমিশন। স্তব্ধ করে দেব সব। ওই ছোড়াটা, যেটা মন্ত্রী হয়েছে, বলে বেড়াচ্ছে গুলি ছোড়ার কথা! বালুরঘাটে ঢুকে দশ হাজার ভোটে জিতেছে, এখন বলছে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাবে। বাংলার মানুষকে চেনেনা ওরা। ওই দু’চারটে সুকান্ত হাওয়া দিয়ে উড়ে যাবে।” এরপর আরও একধাপ এগিয়ে কল্যাণ বলেন, “আয় না একবার শ্রীরামপুরে বক্তৃতা দিতে। আয় তুই। তারপর ঘরে ফিরিস কীভাবে, সেটা আমি দেখব।”

তাঁর (Kalyan Banerjee) এই মন্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বিজেপির পক্ষ থেকে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। পালটা জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “একজন সাংসদ, যিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, তিনি প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গুলি করার হুমকি দিচ্ছেন! ওনার মানসিক স্থিতি ঠিক আছে তো? বয়স হয়ে গিয়েছে, তাই হয়তো মাথা গরম হয়ে গেছে।”

বিতর্কের সূত্রপাত অবশ্য মালদহে (Kalyan Banerjee)। সেখানে বিজয়া সম্মিলনীতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তৃণমূলের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “যদি একটিও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, আমি মোথাবাড়ি লন্ডভন্ড করে দেব।” তাঁর বক্তব্য, নদীভাঙন বা পুরনো নথিপত্র নষ্ট হওয়ার কারণে বহু মানুষ ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেননি। যদি তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হয়, তবে তিনি চুপ করে থাকবেন না।

এরপরই সুকান্ত মজুমদার সাবিনাকে আক্রমণ করে বলেন, “বাংলাদেশি মুসলমানদের নাম ভোটার তালিকায় থাকতে পারে না। ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু তৃণমূলের কথায় কেউ রাস্তায় নামলে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে। তখন গুলি চলবে। যাঁরা দাঙ্গা করবে, তাঁদের পরিবারকেই তার মাশুল দিতে হবে।”

এই মন্তব্য ঘিরেই এখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একদিকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তুই-তুকারি’ করা চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পালটা হুঁশিয়ারি— দু’পক্ষের কথার লড়াইয়ে এখন জ্বলছে বাংলা। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে এমন তীব্র ভাষা ও হুমকি রাজ্যের ভোট রাজনীতিতে নতুন আগুন জ্বালাতে পারে।