কাশ্মীরের সোপিয়ানে ‘অপারেশন কেল্লা’-য় তিন জঙ্গি (Terrorists) নিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সুনির্দিষ্ট অভিযানে চলে দীর্ঘক্ষণ গুলিযুদ্ধ। ইতিমধ্যেই নিহতদের (Terrorists) মধ্যে দুই জঙ্গির পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে, একজনের (Terrorists)পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিহত জঙ্গিদের (Terrorists) পরিচয়:
শাহিদ কুট্টে — চটিপোড়া হিরপোড়ার বাসিন্দা।
লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয় ২০২৩ সালের ৮ মার্চ, ক্যাটাগরি ‘A’ জঙ্গি হিসেবে।
২০২৪ সালের ৮ এপ্রিল দানিশ রিসর্টে জার্মান পর্যটকদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল।
একই বছরের ১৮ মে, হিরপোড়ায় বিজেপির এক গ্রাম প্রধানকে খুন করে।
২০২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, কুলগামের বেহিবাগে টেরিটোরিয়াল আর্মির এক অফিসারকে হত্যার সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে।
আদনান সফি দার — ওয়ান্দুনা মেলহোরা এলাকার বাসিন্দা।
২০২৪ সালের ১৮ অক্টোবর লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দেয়, ক্যাটাগরি ‘C’ জঙ্গি হিসেবে।
সোপিয়ানের ওয়াচিতে ভিনরাজ্যের এক শ্রমিককে খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
তৃতীয় জঙ্গির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তদন্তকারীরা তার পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
অপারেশনের পেছনের ঘটনা:
সোমবার রাতে কাশ্মীর পুলিশের কাছে ইন্টেলিজেন্স ইনপুট আসে, কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি গভীর জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই সিআরপিএফ, ভারতীয় সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের অ্যান্টি-মিলিট্যান্সি স্কোয়াড যৌথ অভিযান শুরু করে।
ভোররাত থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই, স্থান ছিল সোপিয়ানের ঘন আপেলের বাগান। জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে, পাল্টা জবাবে তিনজনই খতম হয়।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও সন্দেহ:
নিহত তিন জঙ্গির কাছ থেকে AK-47 রাইফেল ও বিপুল পরিমাণ কার্তুজ ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, এত অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জোগাচ্ছে কারা? তদন্তকারীরা তা খতিয়ে দেখছেন।
এছাড়াও, যাদের খতম করা হয়েছে তারা পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা, অথবা একই জঙ্গি মডিউলের অংশ কিনা, সেই বিষয়েও চলছে তদন্ত।
কাশ্মীর পুলিশ জানায়, তিনজন জঙ্গির বিরুদ্ধেই আগে থেকেই পোস্টার ও সতর্কবার্তা জারি ছিল। অভিযানে জঙ্গিদের একটিও পালানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে সূত্রের খবর।
নিরাপত্তা বাহিনীর নির্ভুল পরিকল্পনায় সোপিয়ান এক বড়সড় নাশকতার হাত থেকে বাঁচল, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।