তিলোত্তমার বাবা-মা ফের একবার আন্দোলনের (Teachers Protest) পাশে। রোববার বিকাশ ভবনের সামনে প্লাস্টিক আর মাদুরে ঘেরা রাস্তায় বসে থাকা চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করলেন তাঁরা (Teachers protest)। চোখে ঘুম নেই, মুখে ক্লান্তি — তবুও অনড় প্রতিবাদীদের (Teachers protest) পাশে এসে দাঁড়ালেন সেই শহিদ তরুণীর বাবা-মা, যাঁর মৃত্যু গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
সেই প্রতিবাদী মঞ্চ থেকেই উঠে এল নতুন করে এক পুরনো ক্ষোভ। তিলোত্তমার বাবার অভিযোগ স্পষ্ট: “সেই সময়েও সিবিআই তদন্ত করছিল। কিন্তু তারা সময়মতো রিপোর্ট দিতে পারেনি। আর তার ফলেই আজ এই ছেলেমেয়েদের চাকরি চলে গিয়েছে। গোটা ঘটনাটাই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। আমার মেয়ের মৃত্যুও সেই একই ব্যবস্থার বলি। আজ এই শিক্ষকরা ঠিক তেমনই নিপীড়নের শিকার।”
তাঁর মতে, এই শিক্ষক-শিক্ষিকারাই একসময় তিলোত্তমার ন্যায়ের দাবিতে লড়েছিলেন। “রাজ্যের নানা স্কুলে আন্দোলন হয়েছিল, সেখানে এদের অবদান ছিল। আজ আমরা তাদের বলছি — যেভাবে আমরা লড়াই চালাচ্ছি, তেমন তারাও যেন থেমে না যায়।”
তিলোত্তমার মায়ের কণ্ঠেও ক্ষোভ আর সমবেদনার মিশেল। চোখে জল নিয়ে তিনি বলেন, “এই ভবিষ্যতের কারিগররা আজ রাস্তায়, প্লাস্টিকের উপর শুয়ে। এটা আমাদের লজ্জা। দেশের লজ্জা। কারা এই অবস্থার জন্য দায়ী? এদের চাকরি গেছে দুর্নীতির কারণে। যখন এরা আমাদের পাশে ছিল, আজ আমরাও তাদের পাশে আছি।”
দিন-রাত এক করে শিক্ষার মর্যাদা রক্ষায় রাস্তায় থাকা এই প্রতিবাদীদের দৃঢ়তা তিলোত্তমার বাবা-মায়ের মনে নাড়া দিয়েছে। সিবিআই ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন — এই লড়াই আর শুধু চাকরির জন্য নয়, এটি ন্যায়ের জন্য, একটি ভেঙে পড়া ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই।