আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে ফের রাজ্যে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। চলতি মাসের ২৯ তারিখ, দুপুর ১২টায় আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে একটি সরকারি কর্মসূচি ও জনসভায় অংশ নেবেন তিনি (PM Modi)। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর এই প্রথমবার রাজ্যে মোদীর (PM Modi) সফর, তাই রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সফরের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো মোদীর কর্মসূচির স্থান হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনির কাছাকাছি, যা ডোকলাম ও ‘চিকেনস নেক’ করিডোরের অত্যন্ত কাছের এলাকা। উত্তর-পূর্ব ভারতের ভূ-রাজনৈতিক আবহ ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার মধ্যে এই সফরকে কেন্দ্র করে চর্চা তুঙ্গে।
এর ঠিক একদিন পর, ৩১ মে শনিবার রাতে রাজ্যে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সফরে রয়েছে দুটি সরকারি কর্মসূচি। ১ জুন আরামবাগে সমবায় বিষয়ক এক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। এছাড়া রয়েছে সীমান্ত-নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি কর্মসূচিও।
সেই দিন সন্ধ্যায়ই নিউটাউনের একটি হোটেলে বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য বিজেপির রণকৌশল ও সাংগঠনিক মূল্যায়ন নিয়েই সেই বৈঠকে আলোচনা হবে বলে ধারণা।
মজার ব্যাপার, মাস কয়েক আগেও অমিত শাহের সফর একাধিকবার নির্ধারিত হলেও বাতিল হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার সফর ঘিরে বাড়তি সতর্ক বিজেপি নেতৃত্ব।
এই সফরকে ঘিরে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদী ও শাহের একদিনের ব্যবধানে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে উপস্থিতি একটি কৌশলগত বার্তা দিচ্ছে— আলাদা করে কোনও ‘উত্তরবঙ্গ’ নয়, গোটা বাংলা বিজেপির নজরে। সেইসঙ্গে ‘ডোকলাম, বাংলাদেশ, সীমান্ত-নিরাপত্তা’— এসবকে ভোটের আগেই জাতীয় ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করতেও প্রস্তুত কেন্দ্র।
