“আমি কুড়কুড়াটি রাস্তার ধারে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম, চুরি করিনি মা” — মৃত্যুর আগে (Panskura) নিজের খাতায় এই করুণ বার্তা রেখে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাস। সেই লেখা এখন যেন কান্নার মতো ছড়িয়ে পড়ছে গোটা পাঁশকুড়া জুড়ে (Panskura)। অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে সেই মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ — যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, দোকানের সামনে পড়ে থাকা চিপসের প্যাকেটটি কুড়িয়ে নেয় কৃষ্ণেন্দু (Panskura)।
তবু রেহাই মেলেনি। রবিবার স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকান থেকে চিপস কেনার ইচ্ছে নিয়েই গিয়েছিল সে। দোকানদার না থাকায় ফিরে আসে। কিছুক্ষণ পর মোটরবাইক নিয়ে তাকে ধরে ফেলেন শুভঙ্কর। অভিযোগ, চুরির অপবাদে জনসমক্ষে মারধর ও অপমান করা হয় তাকে, কান ধরে ওঠবস করানো হয় বাজারের মাঝে।
এই অসম্মান, এই অন্যায় হয়তো সহ্য করতে পারেনি কোমল হৃদয়ের ওই কিশোর। অপমানে বিষ খেয়ে ফেলে। ভর্তি করা হয় তমলুক মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু ফিরে আসা হয়নি কৃষ্ণেন্দুর। বৃহস্পতিবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে।
তার মৃত্যুর পর পাওয়া গেছে সেই খাতা — যেখানে নিজের শেষ চিঠিতে মা-কে জানিয়েছিল, সে চিপস চুরি করেনি, পেয়েছিল রাস্তায়।
একটি চিপসের প্যাকেট, একটুখানি বিশ্বাসের অভাব — আর শেষ হয়ে গেল একটি নিষ্পাপ প্রাণ। গোসাইবেড় আজ শোকস্তব্ধ। প্রশ্ন উঠছে — এই দায় কার?