পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার জবাবে ভারতীয় সেনার প্রতিআঘাতমূলক অভিযানের পর ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে (Bratya Basu) ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সেনার বীরত্বকে সম্মান জানিয়ে একটি প্রস্তাব আনা হয়। এই প্রস্তাব আনেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগে আনা এই প্রস্তাবে সেনার সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানানো হলেও, কোথাও ‘অপারেশন সিঁদুর’ শব্দটির উল্লেখ ছিল না। আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।
এই প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় আলোচনায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সরকার পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বীরবাহা হাঁসদা, মধুপর্ণা ঠাকুর ও মোশারফ হোসেন। প্রস্তাবের শুরুতেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেনার ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর কোনও রাজনৈতিক দলের কৃতিত্ব নয়, এটি ভারতীয় সেনার কৃতিত্ব।’’ পাশাপাশি তিনি (Bratya Basu) গোয়েন্দা বিভাগ ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এরপর বিজেপির বিধায়ক অসীম সরকার গান গেয়ে সেনার কৃতিত্বকে স্বীকার করেন। তবে ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বক্তব্যের কিছু অংশে দ্বিমত পোষণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কদের একাংশ অভিযোগ তোলেন, প্রস্তাবে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শব্দটি বাদ দেওয়ার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক।
এদিন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, ‘‘২০২৬ সালে অপারেশন বেঙ্গল হবে।’’ পাল্টা জবাবে তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘একটি রাজনৈতিক দল সেনার কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করছে, এটা ঠিক নয়।’’
শুভেন্দু অধিকারী এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন এবং বলেন, ভারতীয় সেনার বীরত্বকে কোনওভাবেই রাজনীতির দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীরা বিজেপির বক্তব্যের বিরোধিতা করেন।
সব মিলিয়ে বিধানসভায় সেনার বীরত্বকে সম্মান জানানোর এই উদ্যোগ রাজনৈতিক দোলাচলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। ‘অপারেশন সিঁদুর’–এর নাম না থাকা নিয়েই যত তর্ক-বিতর্ক।