বাংলাদেশে (Bangladesh) রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার আবহে এবার আরও বড়সড় ভূমিকম্প—অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। বৃহস্পতিবার তিনি (Bangladesh) সরাসরি জানিয়েছেন, দায়িত্ব ছাড়তে চান। আর এর পরপরই দেশজুড়ে (Bangladesh) চাঞ্চল্য, রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন—ইস্তফার পর কি গ্রেফতার হবেন ইউনূস? না কি সেনার চাপেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হবেন তিনি?
২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের হাল ধরেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ইউনূস। তাঁকে সামনে রেখে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার, যার মূল লক্ষ্য ছিল—একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে, ততই বেড়েছে চাপ—রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশের সেনাবাহিনী।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন না হলে সেনা নীরব থাকবে না। উল্লেখ্য, ওয়াকার উজ জামান ছিলেন শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। যদিও হাসিনা এখন আর সরকারে নেই, সেনার নিয়ন্ত্রণ এখনও তাঁর আস্থাভাজনের হাতেই।
সূত্রের দাবি, সেনার চাপেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ইউনূস। রাজনৈতিক মহলে আরও আশঙ্কা, পদত্যাগ করলেই ইউনূসকে গ্রেফতার করতে পারে সেনাবাহিনী। কারণ, সেনা মনে করছে, এই অন্তর্বর্তী সরকার সেনার কর্মকাণ্ডে “অযথা হস্তক্ষেপ” করছে।
একাংশের মতে, ইস্তফার আগে থেকেই ইউনূস প্রস্তুতি নিচ্ছেন দেশ ছাড়ার। যদি সেনা তাঁকে ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ সরে যেতে না দেয়, তাহলে তিনি হয়তো আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তা চেয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ও চাইতে পারেন।
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও অনাস্থা—দুটোই বাড়ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক দলগুলির চাপ এবং সেনার সরাসরি হস্তক্ষেপ—সব মিলিয়ে দেশ এক অন্ধকার গহ্বরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তাহলে কি আবারও বাংলাদেশে ফিরছে সেনা শাসনের দিন? নাকি আন্তর্জাতিক চাপের মুখে শেষ মুহূর্তে হবে কোনও আপোষ? এসব প্রশ্নের জবাব এখনও সময়ের অপেক্ষায়, কিন্তু বাস্তবতা বলছে—বাংলাদেশ একটি বড়সড় রাজনৈতিক সঙ্কটের দ্বারপ্রান্তে।