চাকরি হারিয়ে চরম হতাশায় ডুবে এক শিক্ষিকা রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বাসিন্দা ওই প্রাক্তন শিক্ষিকা মৌমিতা পাল মঙ্গলবার দুপুরে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) কোর্ট পোস্ট অফিসে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিস্ট্রি করে তাঁর আবেদনপত্র পাঠান রাষ্ট্রপতির দপ্তরে। মৌমিতার দাবি, শুধু তিনিই নন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আরও বহু চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা একইভাবে রাষ্ট্রপতির কাছে ইমেল ও ডাকযোগে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করছেন।
মৌমিতা (Alipurduar) বলেন, “আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চাইছি কারণ আমাদের কথা বলার আর কোনও রাস্তা নেই। চাকরি হারিয়ে রোজগার বন্ধ। পরিবারের পেটে খাবার নেই, ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এই অবস্থায় আর বাঁচতে পারছি না।”
শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকাই নন, বুধবার আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) একইভাবে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র চাকরিহারা কর্মীরাও রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, তাঁদের অনেকেই ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় ভুগছেন এবং নতুন করে পরীক্ষায় বসার কোনও আর্থিক ও মানসিক সামর্থ্য নেই বলে দাবি করেছেন।
এর আগে, ২৯ মে দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) সফরে এসেছিলেন, তখনই চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা সংসদ ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সেই অনুমতি মেলেনি। এরপর থেকেই তাঁরা ‘শেষ রাস্তা’ হিসাবে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যদিও ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়েও হাইকোর্টে মামলা চলেছে। তবে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আর নতুন করে পরীক্ষায় বসবেন না। বরং রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে সমাজের সামনে তাঁদের অসহায় পরিস্থিতি তুলে ধরতে চান।