ঘটনাস্থল দেওরিয়া জেলা (Murder)। অভিযুক্ত (Murder), ৩০ বছরের রাজিয়া। অভিযোগ, নিজের প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামী নওশাদ আহমেদকে কুপিয়ে খুন (Murder)করে তাঁর দেহ একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে ফেলে দেওয়া হয় খামারের জমিতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৮ বছর বয়সী নওশাদ আহমেদ পেশায় গাড়িচালক ছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দুবাইয়ে কর্মরত ছিলেন। মাত্র ১০ দিন আগেই তিনি দেশে ফিরেছিলেন। ১৯ এপ্রিল তাঁকে খুন করা হয় এবং পরদিন, ২০ এপ্রিল, একটি খামারের জমি থেকে তাঁর দেহ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়। দেহটি ছিল একটি ট্রলি ব্যাগের ভিতর—খামারটি ছিল নওশাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে রাজিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, রাজিয়ার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল রুমান নামে এক যুবকের সঙ্গে—যিনি আবার নওশাদেরই ভাইপো! পুলিশের অনুমান, খুন এবং দেহ গোপনের কাজে রাজিয়াকে সাহায্য করেছে রুমান। ঘটনার পর থেকেই রুমান পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এই জঘন্য অপরাধের রহস্য ফাঁস করতে বড় ভূমিকা নেয় একটি ছোট্ট সূত্র—নওশাদের ট্রলি ব্যাগে লাগানো এয়ারলাইন ব্যাগেজ ট্যাগ। সেটিই পুলিশের তদন্তকে নিয়ে যায় লখনউয়ের চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকেই নিশ্চিত হয়, নিহত ব্যক্তি সম্প্রতি দুবাই থেকে ফিরেছিলেন এবং তাঁর নাম নওশাদ আহমেদ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ব্যাগের মধ্যে থাকা বিদেশি সিম কার্ড ও নথির ফটোকপিও তদন্তে সহায়ক হয়েছে।
রাজিয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তিনি ভেবেছিলেন স্বামী জীবিত থাকলে রুমানকে হারাতে হবে। সেই কারণেই এই চরম সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে এই ধরনের ঘটনা এখন প্রায় ধারাবাহিক। কিছুদিন আগেই মিরাটে সৌরভ রাজপুতকে খুন করে ড্রামে ভরে রাখার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী মুসকান এবং প্রেমিক সাহিলের বিরুদ্ধে। তারও আগে, আকবরপুর সাদত গ্রামে অমিত কাশ্যপ নামে এক যুবককে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর স্ত্রী রবিতা এবং প্রেমিক অমরদীপের বিরুদ্ধে।
এই ধরনের ঘটনায় ক্রমশ প্রশ্ন উঠছে, সম্পর্কের জটিলতা আর নিষ্ঠুরতার সীমারেখা কোথায়?