কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে চলছিল আলোচনা, আর সেখান থেকেই হঠাৎ উঠে এল তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের প্রসঙ্গ (Kalyan Banerjee)। কিন্তু বিষয়টি দ্রুতই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং শেষমেশ তা ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের অভিযোগ পর্যন্ত গড়ায় (Kalyan Banerjee)। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) এক আইনজীবীকে আদালতের বারান্দায় কলার ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছেন।
আক্রান্ত আইনজীবী অশোক নাথ অভিযোগ জানাতে পৌঁছে গিয়েছেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়। তাঁর দাবি, “আলোচনার সময় আমি শুধু জানতে চেয়েছিলাম, উনি কেন সৌগত রায়ের মতো একজন সম্মানীয় নেতাকে গালাগালি দিচ্ছেন। তখনই রেগে গিয়ে আমাকে বলে, ‘তুমি সৌগত রায়ের চামচা হয়ে গিয়েছ।’ আমি প্রতিবাদ করলে, ও উঠে এসে আমাকে আক্রমণ করে। মুখে মার দেয়, আমার মুখ কেটে যায়, রক্ত বের হয়। সব ঘটনা পুলিশকে জানিয়েছি, তবে এখনো অভিযোগ এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি।”
অন্যদিকে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, “এসব সব ভুয়ো অভিযোগ। আমি কেবল ঠেলে সরিয়েছি, জামা ধরেছিলাম ঠিকই, তবে কোনও মারধর করিনি। ও শুধু আমার নাম নিয়ে প্রচারে আসতে চাইছে।”
তবে কীভাবে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হল? কল্যাণের ব্যাখ্যা, “আমি আদালতে বসে পাকিস্তানের প্রসঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একজন এসে বলে, আপনি সৌগত রায়কে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন কেন? আমি বলি, এটা তো রাজনৈতিক আলোচনা নয়। তখন থেকেই ও আমাকে উস্কানি দিতে থাকে।”
সাংসদ আরও বলেন, “ও আমার পেছনে এসে দাঁড়ায়, বলি আমি কেন ওর সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথা বলব? ওর কী যোগ্যতা আছে? উকিল হিসেবেও তো ওর কিছু প্রমাণ নেই। তখনই ও পাল্টা বলে, আপনি কীভাবে উকিল হয়েছেন, আমাদের জানা আছে।”
ঘটনার জেরে আদালতের পরিবেশও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, এবং এখন নজর রয়েছে প্রশাসনের দিকে—অভিযোগ কি আদৌ এফআইআর হবে? নাকি এখানেই থেমে যাবে এই রাজনৈতিক ও আইনি বিতর্ক?