ইজরায়েল ও ইরানের যুদ্ধ আজ পঞ্চম দিনে পা দিয়েছে। ইজরায়েল মধ্য ইরানের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। পাল্টা জবাবে ইরানও ইজরায়েলের তেলআবিব ও হাইফাসহ একাধিক শহরে প্রচণ্ড মিসাইল হামলা চালিয়েছে (Indian)। এই হামলায় অন্তত ২৪ জন নিহত ও ৬০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। এটি ইরানের তরফ থেকে সবচেয়ে বড় এবং প্রাণঘাতী হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিয়ে এখন গোটা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে ভারতের (Indian) জন্য দুশ্চিন্তা আরও গভীর, কারণ ইজরায়েলে কাজ করতে যাওয়া বহু ভারতীয়, বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির ‘নাইবস্তি’ গ্রামের অন্তত ২ ডজন যুবক সেখানে আটকে পড়েছেন এবং নিরাপত্তার জন্য বাঙ্কারে (Indian) আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

ইজরায়েলে থাকা ভারতীয় শ্রমিক মনু সিংহ (Indian) ভিডিও কলে জানান, ‘‘আমাদের এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই মিসাইল হামলা হচ্ছে। সাইরেন বাজলেই সবাই দ্রুত বাঙ্কারের দিকে ছুটে যাই। তবে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা খুবই শক্তিশালী, আকাশেই বেশিরভাগ মিসাইল ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে।’’ মনু প্রায় ১১ মাস আগে ইজরায়েলে কাজ করতে গেছেন।
আরেক শ্রমিক (Indian) বাবলু সিংহ, যিনি ১৪ মাস ধরে ইজরায়েলে কাজ করছেন, তিনিও বলেন, ‘‘সাইরেন বাজলে চারপাশটা একদম স্তব্ধ হয়ে যায়। সবাই নিয়ম মেনে বাঙ্কারে চলে যায়। বাঙ্কারগুলোতে খাবার ও পানির ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। ইজরায়েলের প্রস্তুতি অনেক শক্তিশালী।’’
তাঁদের পরিবারের লোকজন জানান, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই তাঁরা টিভি আর সংবাদপত্রের মাধ্যমে সব খবর রাখছেন, এবং ভিডিও কলে বারবার যোগাযোগ রাখছেন। তবে কলের পেছনে সাইরেন বাজলে মনটা কেঁপে ওঠে।
বাবলু সিংহের ভাই সাবলু সিংহ বলেন, ‘‘ইজরায়েল সরকার সবরকম সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। বাঙ্কারে কোনো খাবার বা পানির অভাব নেই।’’
খবরে জানা যাচ্ছে, বারাবাঁকি জেলার দেবা ও আশেপাশের এলাকা থেকে ২০২৪ সালে প্রায় ৫০০-এর বেশি যুবক কাজের জন্য ইজরায়েলে গিয়েছিলেন। বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে এবং বেশিরভাগ শ্রমিক এখন বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং ইজরায়েল সরকারের সুরক্ষা নির্দেশনা মেনেই চলছেন।













