আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি-তে অবস্থিত ফোর সিজন হোটেলের সামনে জড়ো হন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকরা। তাঁরা প্রতিবাদ জানান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান (Pakistan Army Chief) ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে। এই বিক্ষোভের আয়োজন করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) USA, যারা বলেন, “আসিম মুনির (Pakistan Army Chief) পাকিস্তানের জনগণের উপর যেসব অপরাধ করেছেন, তারই বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।”
PTI-এর পক্ষ থেকে X (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বড় স্লাইডে লেখা— “Mass Murderer Asim Munir”, তার ছবি লাল কালি দিয়ে কাটা, এবং বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান, যেমন— “Democracy dies when guns speak”
বিক্ষোভ হয় এমন সময়, যখন খবর রটে যে আসিম মুনিরকে (Pakistan Army Chief) US Army Day-তে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যদিও আমেরিকা সরকার পরে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, এই খবর সত্য নয়। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়। কংগ্রেস দল একে “কূটনৈতিক পরাজয়” বলে আখ্যা দেয়, কারণ সম্প্রতি ভারত অপারেশন সিঁদুর-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও POK-তে সন্ত্রাসবাদীদের উপর নির্ভুল হামলা চালিয়েছে।
পাকিস্তানেও আসিম মুনিরের (Pakistan Army Chief) বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁকে ইমরান খানের PTI-কে দমন করা ও রাজনীতিতে সেনার হস্তক্ষেপ করার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে। আরেকটি ভিডিওতে এক প্রতিবাদকারী চিৎকার করে বলেন, “আসিম মুনির, ইসলামাবাদের খুনি!” এই সময় হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁকে পেছনে সরে যেতে বলেন।

হোটেলের সামনে একাধিক কালো SUV ও অফিসিয়াল কনভয় পৌঁছতে দেখা যায়। সেই সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান তোলেন,”Shame! Shame on you, free Pakistan!”, “Civilian supremacy in Pakistan!” “Dictator, shame on you!”, “Shame on you, Asim Munir!”, এছাড়া ইংরেজি ও পাঞ্জাবিতে কটুক্তিও করেন তাঁরা।
নিরাপত্তারক্ষীরা প্রতিবাদকারীদের সরে যেতে বলেন। কিন্তু এক ব্যক্তি জবাব দেন, “আমি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে, আমার অধিকার আছে। আমি প্রাইভেট প্রপার্টিতে নই।”
এক পর্যায়ে একজন অফিসিয়াল গাড়ি থেকে নামলে এক প্রতিবাদকারী চিৎকার করে বলেন: “Geedad, geedad, geedad!” — যা পাকিস্তানে “কাপুরুষ ও প্রতারক” বোঝাতে ব্যবহার হয়।