বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার (Plane Crash) পর উদ্ধারকার্যে নেমে এক বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন উদ্ধারকর্মীরা। ঘটনাস্থলে তাপমাত্রা ১,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে যায়, জানিয়েছেন দমকল ও SDRF আধিকারিকেরা। ওই আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে জীবিত কাউকে (Plane Crash) উদ্ধার করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।
লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর (Plane Crash) থেকে উড়ে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে। বিমানে ছিলেন মোট ২৪২ জন যাত্রী ও কর্মী। বিমানটিতে ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি ছিল এবং সেটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আগুন ধরিয়ে(Plane Crash) দেয় পুরো এলাকা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ জানান, এত পরিমাণে জ্বালানি থাকায় আগুনের তীব্রতা (Plane Crash) এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে কাউকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
দুর্ঘটনাস্থল ছিল BJ মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল ও ডাক্তার ও কর্মীদের আবাসন (Plane Crash)। দুপুর ২টা থেকে ২.৩০-এর মধ্যে SDRF পৌঁছলেও ততক্ষণে স্থানীয় মানুষ যাদের বাঁচানো সম্ভব, বের করে ফেলেছিলেন। SDRF-এর তরফে জানানো হয়েছে, তাদের টিম ঘটনাস্থল থেকে ২৫-৩০টি দেহ উদ্ধার করেছে, যার মধ্যে শিশুদের দেহও ছিল।
দমকল বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, “বিমানের ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণের ফলে মুহূর্তের মধ্যে আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়ে যে কেউ বেরিয়ে আসার সুযোগ পায়নি।”

এক SDRF কর্মী জানান, তিনি ২০১৭ সাল থেকে এই কাজে রয়েছেন, কিন্তু এমন ভয়াবহ দৃশ্য আগে কখনও দেখেননি। PPE কিট পরে উদ্ধারকার্যে নেমে তিনি দেখেন চারিদিকে শুধু জ্বলন্ত ধ্বংসস্তূপ। তাপমাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে উদ্ধারকর্মীদের কাজ করতেও সমস্যা হচ্ছিল।
কয়েকজন SDRF সদস্য জানিয়েছেন, প্রাণহানি এত বেশি যে অনেক মৃতদেহ চিনে ওঠা যাচ্ছে না—ডিএনএ টেস্ট ছাড়া শনাক্তকরণ সম্ভব নয়।
এমনকি দুর্ঘটনাস্থলের পাখি ও কুকুররাও আগুন থেকে রেহাই পায়নি, পড়ে আছে তাদের পোড়া দেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনো পর্যন্ত ২৬৫টি মৃতদেহ আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে আনা হয়েছে, যদিও সরকারিভাবে এখনও মৃত্যুর চূড়ান্ত সংখ্যা ঘোষণা করা হয়নি।