আইপিএল জয়ের আনন্দে গোটা বেঙ্গালুরু মাতোয়ারা ছিল। কিন্তু সেই উৎসবই এখন বিষাদের রূপ নিয়েছে। আর এই ঘটনার কেন্দ্রে রয়েছেন বিরাট কোহলি। যাঁর আইপিএল জয়ের স্বপ্ন ছিল বছরের পর বছর, সেই বিরাটকেই এখন কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। এক্স (টুইটার)-এ ট্রেন্ডিং হচ্ছে Arrest Kohli! বহু মানুষ বিরাটের গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছেন।
ঘটনা হল, আইপিএল খেতাব জেতার পর বেঙ্গালুরুর আরসিবি দল একটি বিজয় মিছিল আয়োজন করেছিল (Arrest Kohli)। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে হয় ট্রফি প্যারেড ও সেলিব্রেশন। সেখানে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আহত বহু। এর পরই বিরাট কোহলিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়।
বেঙ্গালুরুর কাবন পার্ক থানায় বিরাটের (Arrest Kohli) বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। সমাজকর্মী এইচএম ভেঙ্কটেশ নামের এক ব্যক্তি বিরাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। এর আগেও তিনি বিরাটের ‘পাব’ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার মৃত্যু নিয়ে সরব হলেন।
এছাড়া পুলিশের তরফে আরসিবি-র এক কর্মী নিখিল সোসালেকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। অনেকের মতে, চিন্নাস্বামীর এই ঘটনা ধীরে ধীরে বড়সড় আইনি জটিলতায় পৌঁছতে চলেছে।
২০০৮ সালে বিরাট কোহলি (Arrest Kohli) আরসিবিতে যোগ দেন। তারপর থেকে দলটার সঙ্গে তাঁর এক গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তাঁর অধরা স্বপ্ন পূরণ হয়, আইপিএল জেতেন তিনি। সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই তিনি আবেগে ভেসে যান। খেতাব জয়ের পরে আরসিবির তরফে আয়োজিত বিজয় উত্সবে তাঁর উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে—সেই উদ্যাপন কি বন্ধ করা যেত না? প্রাণহানির পরেও বিরাট কেন চুপ? কেন তিনি নিজে থেকে কোনও বক্তব্য দিলেন না? যদিও বিরাট কোহলি আরসিবির অফিশিয়াল শোকবার্তা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন।