নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়েও ঢুকেই পড়েছিল আইসিসের ছায়া (Hyderabad)। হায়দরাবাদ (Hyderabad) জুড়ে তৈরি হচ্ছিল ভয়ানক সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা ভেস্তে দিল পুলিশের তৎপরতা (Hyderabad)। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশ পুলিশের যৌথ অভিযানে (Hyderabad) গ্রেফতার করা হয়েছে দুই আইসিস-যোগসূত্রিত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে। উদ্ধার হয়েছে বিস্ফোরক সামগ্রীও। বিস্ফোরণের আগেই দমন করা গেল ভয়াবহ এক ষড়যন্ত্র।
ধৃতদের নাম সিরাজউর রহমান ও সঈদ সমীর। সিরাজ ভিজিনগরামের বাসিন্দা, সমীর হায়দরাবাদেরই ছেলে। পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, তাদের দু’জনেরই সরাসরি যোগাযোগ ছিল আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইসিসের সঙ্গে। হায়দরাবাদে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছিল তারা, আর সেই পরিকল্পনার সুতো টানা হচ্ছিল সৌদি আরবের আইসিস মডিউল থেকে। কীভাবে কোথায় বিস্ফোরণ ঘটাতে হবে— এমনকি ‘ডামি বিস্ফোরণ’ করে আগে পরীক্ষা চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
সিরাজ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে চাকরি খুঁজছিল, আর সমীর লিফট সংস্থায় কাজ করত। দুইজনেই তথাকথিতভাবে ‘স্বাভাবিক জীবনযাপনকারী’ হলেও ভিতরে ভিতরে তারা তৈরি হচ্ছিল ভয়ঙ্কর হামলার জন্য। এমনকী, তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, শুধু হায়দরাবাদ নয়, দেশের একাধিক শহরে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছকও কষছিল তারা।
তদন্তে উঠে এসেছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। এই দুই যুবক ‘অল হিন্দ ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ নামের এক বিতর্কিত সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে দাবি পুলিশের। সেই সংগঠনের মাধ্যমেই নাকি তারা ধাপে ধাপে জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।
ভিজিনগরাম থেকে বিস্ফোরক নিয়ে হায়দরাবাদে আসে সিরাজ। পরিকল্পনা ছিল প্রথমে পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো। সেটি সফল হলে পরবর্তী লক্ষ্য ছিল বহুগুণ বড় আকারের হামলা। তবে তার আগেই পুলিশ গোটা ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেয়। দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বিস্ফোরকসহ আটক করা হয়।
এই ঘটনার পর গোটা প্রশাসন এবং গোয়েন্দা মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেশের মাটিতে বসে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের এই রকম সক্রিয় যোগাযোগ যে কতটা বিপজ্জনক, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।