উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে ফের চড়ছে উত্তাপ (North Bengal)। একদিকে জন বার্লার তৃণমূলে যোগদান, অন্যদিকে রাজ্যের দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবিরের শীর্ষ নেতাদের সমান্তরাল সফর (North Bengal)—এই দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক তরজা।
সোমবার থেকে চার দিনের উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সফরের আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছাচ্ছেন বানারহাট, যেখানে তিনি জন বার্লার শক্ত ঘাঁটিতে সভা করবেন।
মমতার সফরসূচি
সোমবার বিকেলে শিলিগুড়ি পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রী অংশ নেবেন একটি বাণিজ্য সম্মেলনে। পরদিন সরকারি সভা এবং বুধবার ‘উত্তরকন্যা’তে একাধিক জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে তাঁর।
শুভেন্দুর পাল্টা কর্মসূচি
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগে সোমবার সকালে বাগডোগরা হয়ে উত্তরবঙ্গ পৌঁছবেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সোজা চলে যাবেন বানারহাট, যেখানে জন বার্লার রাজনৈতিক ভিত্তিকে সামনে রেখেই কর্মসূচি।
এই দুই নেতার সফর ঘিরে দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে টানটান পরিস্থিতি। শিলিগুড়ি শহর ইতিমধ্যে মমতার পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্সে ছয়লাপ। অন্যদিকে বানারহাট জুড়ে বিজেপির গেরুয়া পতাকা ও পোস্টারে ভরে উঠছে রাস্তাঘাট।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ নেতা গৌতম দেব জানিয়েছেন, “গত কয়েকটি নির্বাচন ও উপনির্বাচনে উত্তরবঙ্গে একাধিক আসন আমরা জিতেছি। এবার আরও বেশি আসনের লক্ষ্যে এগোচ্ছি। বার্লার যোগদানে চা-বলয়ে আমাদের অবস্থান আরও মজবুত হবে।”
তবে এই অবস্থানে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী হাওয়া বদল করতে আসছেন। আর বিরোধী দলনেতা তাঁকে আয়না দেখাতে আসছেন। উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী শুধুই ফটোসেশন করবেন—বাস্তবে কোনও কাজ নেই।”
জন বার্লার তৃণমূলে যোগদান নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “যাঁকে নিয়ে তৃণমূল এত উচ্ছ্বসিত, তিনি সুবিধাবাদী রাজনীতির পোস্টার বয়। ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূলের স্বপ্ন অধরাই থাকবে। রাজ্যে বিজেপির সরকার হবে।”