ভারতীয় সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে, রবিবার, ১৮ মে কোনো ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্স (Ceasefire) (DGMO) পর্যায়ের ভারত-পাকিস্তান আলোচনা নির্ধারিত নেই। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ১২ মে দুই দেশের মধ্যে যে সংঘর্ষবিরতি (Ceasefire)চুক্তি হয়েছে, তা এখনো বহাল রয়েছে।
মিডিয়ার কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে এই সংঘর্ষবিরতি (Ceasefire) ‘অস্থায়ী’ এবং ১৮ মে তা শেষ হয়ে যাচ্ছে—এই দাবিকে পুরোপুরি খারিজ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে,
“আজ কোনো DGMO আলোচনার নির্ধারিত সময় নেই। ১২ মে DGMO-দের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে সংঘর্ষবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এবং তার কোনো মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ নির্ধারিত হয়নি।”
২২ এপ্রিল কাশ্মীরে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হানে ভারত। ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই অভিযানে ১০০-রও বেশি সন্ত্রাসীর মৃত্যু হয়। এরপর পাকিস্তান ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে ভারতীয় নাগরিক ও সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করে। ভারত সেই উসকানির কড়া জবাব দেয়।
ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের চিনা প্রযুক্তি-সমর্থিত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে বাইপাস ও জ্যাম করে ইসলামাবাদের নূর খান থেকে সারগোধা পর্যন্ত বিভিন্ন বিমান ও সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধ্বংস চালায়। এই আঘাত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দেয়, যারা ভারতের জবাবের আগে পর্যন্ত যুদ্ধোত্তেজনায় ‘বুক ফুলিয়ে’ ছিল।
ভারতের এই জবাবের পর টানা তিনদিন ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে ইসলামাবাদ ভারতকে সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানায়। ভারত সরকার ১০ মে জানায়, তারা সেই অনুরোধ গ্রহণ করেছে।
অপারেশন সিন্দুরের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এটা শুধু একটি অভিযান নয়, বরং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের নতুন নীতিগত ও কৌশলগত অবস্থান।” তিনি স্পষ্ট করে দেন, দিল্লির এই অবস্থান ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।