ইউটিউব চ্যানেলে ভ্রমণ বিষয়ক একের পর এক ভিডিয়ো আপলোড করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল ‘জ্যোতি’ নামে এক তরুণী (Pakistani Spy)। ভারত ও প্রতিবেশী একাধিক দেশে ভ্রমণের কথা সে নিজেই জানিয়েছে তার ইউটিউব চ্যানেলে (Pakistani Spy)। তবে এবার সেই জ্যোতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে—পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার(Pakistani Spy) সঙ্গে যোগাযোগ রাখার!
জানা গিয়েছে, জ্যোতির ইউটিউব চ্যানেলে ৪৮৭টি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছিল, যার মধ্যে অনেকগুলি পাকিস্তান সফর সংক্রান্ত। ‘ইন্ডিয়ান গার্ল ইন পাকিস্তান’, ‘ইন্ডিয়ান গার্ল এক্সপ্লোরিং লাহোর’, ‘ইন্ডিয়ান গার্ল অ্যাট কাটাস রাজ টেম্পল’, ‘ইন্ডিয়ান গার্ল রাইড লাক্সারি বাস ইন পাকিস্তান’ প্রভৃতি শিরোনামে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিল সে।
২০২৩ সালের ২৬ আগস্ট তারিখে ইউটিউবে আপলোড করা এক ভিডিয়োয় দাবি করা হয়, দিল্লি থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌঁছে ভুটান যাওয়ার পথে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে একাধিক জায়গায় ঘুরে ছিল সে। শিলিগুড়ির এক হোটেলে থাকার পাশাপাশি শহরের একটি জনপ্রিয় মল এবং হংকং মার্কেটেও তাকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে।
সেই বছরই বাংলাদেশের খুলনা, ঢাকা এবং সুন্দরবন সফরের ভিডিয়ো ইউটিউবে আপলোড করে সে। পরে ঢাকা থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ধরে কলকাতায় আসে জ্যোতি। যদিও কলকাতায় সে কী করেছিল, সে বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য সে জানায়নি তার চ্যানেলে।
জ্যোতির ইউটিউব চ্যানেল থেকে আরও জানা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ঘুরেছিল সে—মানালি, লাহুল-স্পিতি, শ্রীনগর, কাটরা, অযোধ্যা, নাগাল্যান্ড, বেনারস, কেরল, কর্ণাটক, মুম্বই, বৃন্দাবন, উটি, আমদাবাদসহ চারধাম যাত্রার ভিডিওও সেখানে আপলোড করা রয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ২০২৩ সালে দিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মী দানিশের সঙ্গে জ্যোতির পরিচয় হয়। পরে সে পাকিস্তানে গিয়ে দানিশের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে। অভিযোগ, সেখান থেকেই তাকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার কয়েকজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখত বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি।
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন তদন্ত শুরু করেছে। ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে কীভাবে ভারতীয় ভ্রমণকারীদের ছদ্মবেশে তথ্য আদানপ্রদান এবং গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হচ্ছে, তা নিয়েও এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।