ওডিশার গজপতি জেলায় এক হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডে (Murder) পুলিশ ১৩ বছরের এক কিশোরী ও তার দুই পুরুষ সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তরা ৫৪ বছর বয়সী রাজলক্ষ্মী করকে হত্যা (Murder) করেছে বলে অভিযোগ। রাজলক্ষ্মী সেই কিশোরীকেই ছোটবেলায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে দত্তক নিয়ে বড় করেছিলেন (Murder) ।
ঘটনাটি ঘটে ২৯ এপ্রিল, রাজলক্ষ্মীর ভাড়াবাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরী তার প্রেমিক গণেশ রাঠ (একজন মন্দিরের পুরোহিত) এবং দিনেশ সাহুকে নিয়ে হত্যার ছক কষেছিল। কারণ, রাজলক্ষ্মী তাদের সম্পর্কের বিরোধিতা করছিলেন এবং তার সম্পত্তির ওপর নজর ছিল কিশোরীর।
গজপতি জেলার এসপি যতীন্দ্র কুমার পাণ্ডা বলেন, “১৩ বছর আগে রাজলক্ষ্মী ও তার স্বামী ভবনেশ্বরে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা এক শিশু কন্যাকে খুঁজে পান। নিঃসন্তান দম্পতি শিশুটিকে দত্তক নিয়ে বড় করে তোলেন। তবে দত্তক নেওয়ার এক বছরের মধ্যেই স্বামী মারা যান। এরপর একা হাতে রাজলক্ষ্মী মেয়েটিকে বড় করেন।”
রাজলক্ষ্মী পরে পড়াশোনার জন্য মেয়েকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারালাখেমুন্ডিতে চলে আসেন। সেখানেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তবে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের ব্যবহারে বদল আসে। সে significantly বড় বয়সী রাঠ ও সাহুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রাজলক্ষ্মী তাতে বাধা দিলে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরী আগেই রাজলক্ষ্মীর কিছু স্বর্ণালঙ্কার রাঠকে দিয়ে দেয়। সেগুলি বন্ধক রেখে প্রায় ২.৪ লক্ষ টাকা তোলা হয়।
এরপর ২৯ এপ্রিল, রাজলক্ষ্মীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় তার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করা হয়। এরপর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
মেয়েটি আশেপাশের লোকজনকে জানায়, তার মা হৃদরোগে মারা গেছেন। এরপর মৃতদেহ নিয়ে পুরীতে নিয়ে গিয়ে দ্রুত দাহ করে ফেলে যাতে সন্দেহ না হয়।
তবে রাজলক্ষ্মীর আত্মীয়স্বজন সন্দেহ করে পুলিশে অভিযোগ করেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্তদের তিনটি মোবাইল ফোন, খুনে ব্যবহৃত দুটি বালিশ ও প্রায় ৩০ গ্রাম সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।