বৃহস্পতিবার সকালে গঙ্গার বুকে ভয়ঙ্কর এক দৃশ্যের (Howrah) সাক্ষী রইলেন লঞ্চযাত্রীরা। সালকিয়া (Howrah) বাধাঘাট থেকে আহিরিটোলার উদ্দেশে ছাড়ে ভূতল পরিবহণের একটি লঞ্চ। মাঝগঙ্গায় পৌঁছতেই আচমকা (Howrah) এক দম্পতি লঞ্চ থেকে একসঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তবে সৌভাগ্যবশত, লঞ্চ কর্মীদের দ্রুত তৎপরতায় দু’জনকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ঘটনাস্থলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
সূত্রের খবর, লিলুয়া ভট্টনগরের বাসিন্দা ওই দম্পতির একমাত্র কন্যাসন্তানের মৃত্যু হয়েছে কয়েকদিন আগেই। মাত্র ১১ বছর বয়সে, কিডনির জটিল সমস্যায় প্রাণ হারায় সে। তার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন দম্পতি। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, মেয়েকে হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
লঞ্চ মাঝগঙ্গায় পৌঁছতেই আচমকাই দু’জন নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। দেখামাত্রই লঞ্চের কয়েকজন কর্মী সঙ্গে সঙ্গে সেফটি টায়ার নিয়ে গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং নদীর স্রোতের মধ্যে থেকেও দু’জনকেই নিরাপদে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় লঞ্চে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ। দু’জনের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। তাঁদের মানসিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
মেয়েকে হারিয়ে মানসিক ভেঙে পড়া দম্পতির আত্মহননের চেষ্টায় প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের মানসিক সংকট মোকাবেলায় সমাজ ও প্রশাসনের তরফে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল সহায়তা মিলছে তো? এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করলে তার পরিণতি কত ভয়াবহ হতে পারে।