ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতের আবহে বিরল স্বীকারোক্তি দিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। তিনি (Pakistan)জানিয়েছেন, ভারতের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসলামাবাদের (Pakistan) নিকটবর্তী নুর খান বিমানঘাঁটি এবং অন্যান্য স্থানে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ১০ মে ভোররাতে (রাত ২:৩০ টা নাগাদ) পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির প্রধানমন্ত্রীকে একটি সুরক্ষিত লাইনে ফোন করে এই হামলার খবর দেন। নুর খান বিমানঘাঁটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যা রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জন নিরীহ নাগরিক নিহত হওয়ার ১৪ দিন পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি স্থানে নির্দিষ্ট জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে হামলা চালানো হয়।
এই অভিযানে ১০০-রও বেশি জঙ্গি নিহত হয়। এরপর পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভারতের বেসামরিক ও সামরিক ঘাঁটিগুলি হামলার চেষ্টা করে, যার যোগ্য জবাব দেয় ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের চীনা প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Air Defence System) “বাইপাস ও জ্যাম” করে পাকিস্তানের একাধিক সামরিক ঘাঁটিতে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি ঘটায়। নুর খান থেকে শুরু করে সারগোধা পর্যন্ত অন্তত ১০টি সামরিক ও বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়। ব্যাপক প্রত্যাঘাতের জেরে তিনদিনের মধ্যে পাকিস্তান ভারতের কাছে অস্ত্রবিরতির অনুরোধ জানায়, যা ভারত গ্রহণ করে।
অপারেশন সিঁদুর-এর পরে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “এটি শুধুই একটি অভিযান নয়, এটি একটি নতুন নীতি — সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের স্থায়ী অবস্থান।” এই ঘটনার মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী কঠোর অবস্থান স্পষ্ট হল, অন্যদিকে পাকিস্তানের পরিকাঠামোগত ও মনস্তাত্ত্বিক ক্ষয়ক্ষতিও সামনে এল—যা আগে তারা সচরাচর অস্বীকার করত।