চাকরি হারানো শিক্ষকদের উপর বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে পুলিশের লাঠিচার্জ হয়। তবুও আন্দোলন থামেনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
তবে তিনি (Suvendu Adhikari) কোনও দলীয় পতাকা নিয়ে যাননি, মঞ্চেও ওঠেননি। মঞ্চের পাশেই একটি জায়গায় বসেছিলেন (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি। এর আগে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে সবাই আসতে পারেন, কিন্তু কোনও রাজনৈতিক পতাকা নিয়ে নয়। শুভেন্দু অধিকারী আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, “এই আন্দোলন অরাজনৈতিক বলেই আমরা প্রকাশ্যে অংশ নিইনি। তবে আমরা শুরু থেকেই পাশে আছি। যোগ্যদের চাকরি ফেরানোর জন্য বিজেপি লড়বে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অভিজিৎ গাঙ্গুলির রায় মেনে নিতেন, তাহলে আজ শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হত না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে আদালতে মামলা লড়তে, অথচ সেই টাকায় রাজ্যে স্কুল, হাসপাতাল গড়া যেত। এই পুরো পরিস্থিতির জন্য একমাত্র দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
শুভেন্দু অধিকারী আরও আশ্বাস দেন, “বিজেপি সরকারে এলে এক মাসের মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা চূড়ান্ত করে চাকরি ফেরানো হবে। ওএমআর শিট পুড়িয়ে যা লুকাতে চেয়েছেন, সিবিআই তার তথ্য বের করে এনেছে।”
তিনি শিক্ষিকাদের সাহসিকতার প্রশংসাও করেন, “চাকরি হারানো শিক্ষিকারা নিজেরাই তাড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের গুণ্ডাদের। সব্যসাচী দত্তকে মমতা পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাঁর বিরুদ্ধেই স্লোগান দিয়েছেন।” অন্যদিকে আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, “আমরা সব রাজনৈতিক দল, সব মানুষের সহানুভূতি ও সমর্থন চাই। তবে সবাই যেন ব্যক্তিগতভাবে আসেন, কোনও দলের পতাকা বা ব্যানার ছাড়া। আমরা কারো বিরোধী নই, শুধু চাকরি ফেরত চাই।”