দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) শুক্রবার দিল্লিতে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি উন্নত মাল্টি এজেন্সি সেন্টার উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং দেশের তিন বাহিনীর অসামান্য হামলা-ক্ষমতার প্রতীক।’’
এই মাল্টি এজেন্সি সেন্টারটি মূলত ২৬/১১ মুম্বই জঙ্গি হামলার পরে তৈরি করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান আরও সময়োপযোগী ও কার্যকর করে তোলা (Amit Shah) । অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, ‘‘অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে—নয়া ভারতের নীতিতে জঙ্গি হামলার জবাব শুধু কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না, জবাব আসবে এয়ারস্ট্রাইকে।’’
৭ মে ভোররাতে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বিভিন্ন জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত ও সীমিত এয়ারস্ট্রাইক চালায়। এর জবাব হিসেবে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে হওয়া জঙ্গি হামলাকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর, ১০ মে ভারত-পাকিস্তান উভয়েই সাময়িকভাবে সামরিক পদক্ষেপ স্থগিত রাখার ঘোষণা করে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই সাময়িক বিরতি পাকিস্তানের আচরণের ওপর নির্ভরশীল।
মোদী সরাসরি বলেন, ‘‘নতুন ভারত আর পারমাণবিক ব্ল্যাকমেলে মাথা নোয়াবে না।’’
জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “অপারেশন সিন্দুর হল ভারতের নতুন সন্ত্রাসবিরোধী নীতি। এবার সন্ত্রাসের জবাব মিলবে মাটিতে নয়, আকাশে। আমরা শুধু আমাদের পদক্ষেপ স্থগিত রেখেছি, বাতিল করিনি। পাকিস্তান কী করে, তার ওপরই নির্ভর করবে ভারতের পরবর্তী পদক্ষেপ।”
তিনি আরও বলেন, “টেরর অ্যান্ড ট্রেড, টেরর অ্যান্ড টক—এ দুটো একসঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনও আপস নয়। ভারত এখন জবাব দেয়, এবং দেবে।”