বৃহস্পতিবারই এসেছিল খুশির খবর — এভারেস্টের চূড়ায় সফলভাবে পা রেখেছেন বাংলার এক শিক্ষক-পর্বতারোহী (Nadia)। কিন্তু সেই জয় যেন স্থায়ী হল না বেশিক্ষণ। নদিয়ার রানাঘাটের (Nadia) বাসিন্দা সুব্রত ঘোষ, যিনি জীবনের বড় স্বপ্নপূরণ করতে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে, ফেরার পথেই পাহাড়েই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন (Nadia)। অভিযানের আনন্দ মুহূর্তে মিশে গেল গভীর শোকে (Nadia)।
পর্বতারোহণ সফল হলেও শরীর আর সঙ্গ দিচ্ছিল না সুব্রতবাবুর। শুক্রবার ভোরে, নেমে আসার সময় অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। সূত্রের খবর, সামিটে পৌঁছতে দুপুর আড়াইটে বাজে তাঁর। তবে শরীর তখন থেকেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। ধীরে ধীরে নামার সময় হিলারি স্টেপের কাছেই থেমে যায় তাঁর জীবনযাত্রা। সেখানেই উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।
একই অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন আর এক বাঙালি পর্বতারোহী রুম্পা দাস। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী শিবিরে নামিয়ে আনা হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
৪৫ বছর বয়সী সুব্রতবাবু পেশায় শিক্ষক ছিলেন। তিনি কৃষ্ণনগরের মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন বহুদিন ধরে। দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ের প্রতি ছিল গভীর ভালোবাসা ও নিষ্ঠা। এভারেস্ট জয় ছিল বহুদিনের লালিত স্বপ্ন।
সেই স্বপ্ন পূরণ হলেও, ফিরে আসা হল না আর। পরিবারের সদস্যরা ও তাঁর ক্লাব-সহযাত্রীরা একদিকে যেমন গর্বিত, অন্যদিকে তেমনি শোকস্তব্ধ। সুব্রত ঘোষের এই জীবন দিয়ে জয় করার গল্প বাংলার পর্বতারোহণের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে চিরকাল।