Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • Ceasefire: ‘ক্রেডিট চোর’ ট্রাম্প! যুদ্ধবিরতির আলোচনাতে ছিলই না বাণিজ্যের প্রসঙ্গ
বিদেশ

Ceasefire: ‘ক্রেডিট চোর’ ট্রাম্প! যুদ্ধবিরতির আলোচনাতে ছিলই না বাণিজ্যের প্রসঙ্গ

Donald Trump
Email :66

ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি (Ceasefire) আনতে সাহায্য করেছিলেন এবং এর বিনিময়ে বাণিজ্য সংক্রান্ত ছাড় চেয়েছিলেন (Ceasefire)। তবে মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই দাবি (Ceasefire) সম্পূর্ণভাবে খণ্ডন করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, আলোচনার সময় (Ceasefire) বাণিজ্যের কোনও প্রসঙ্গও আসেনি।

বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, “৭ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু হওয়ার সময় থেকে ১০ মে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া পর্যন্ত ভারত ও আমেরিকার নেতৃত্বের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তবে সেই কোনও আলোচনায় বাণিজ্যের প্রসঙ্গ ওঠেনি।”

ট্রাম্প সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেন, তাঁর প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি ‘সম্পূর্ণ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’ কার্যকর করতে সাহায্য করেছে। সেই সঙ্গে দাবি করেন, তিনি দুই দেশকে জানিয়েছেন, যদি তারা উত্তেজনা না কমায়, তবে আমেরিকা তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করবে।

এই দাবি প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক জানায়, যুদ্ধবিরতির নির্দিষ্ট সময় ও শর্ত দুই দেশের ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন)-এর মধ্যে সরাসরি ফোনালাপের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছিল ১০ মে বিকেল ৩:৩৫ মিনিটে। এই ফোনালাপের জন্য পাকিস্তানি হাই কমিশন থেকে দুপুর ১২:৩৭ মিনিটে আবেদন আসে। পাকিস্তানের তরফে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সংযোগে কিছু বিলম্ব হয়। পরে ভারতীয় ডিজিএমও-র সময় অনুযায়ী ফোনালাপ সম্পন্ন হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রক আরও জানায়, ১০ মে ভোরে ভারত পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ বিমান ঘাঁটিগুলিতে অত্যন্ত কার্যকর হামলা চালায়, যার ফলে পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “এই যুদ্ধবিরতি কোনও বিদেশি হস্তক্ষেপের ফল নয়, বরং ভারতীয় সেনাবাহিনীর কঠোর জবাবেই পাকিস্তান পিছু হটেছে।”

বিদেশি দেশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ সম্পর্কেও মন্ত্রক জানায়, “আমরা প্রতিটি দেশের কাছে যে বার্তা দিয়েছি, তা এক ও অভিন্ন ছিল—সেটি প্রকাশ্য বার্তার প্রতিফলন। ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামোকে নিশানা করেছে। পাকিস্তান গুলি চালালে ভারত জবাব দেবে, আর পাকিস্তান থেমে গেলে ভারতও থামবে।”

এই পরিস্থিতির মাঝেই ট্রাম্পের বাণিজ্য সংক্রান্ত দাবি ভারত সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মতে, সামরিক সাফল্যই যুদ্ধবিরতির একমাত্র কারণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts