দিঘার জগন্নাথ মন্দির ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক এবার পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন (Calcutta High Court)। আদালত (Calcutta High Court)মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং আগামী ১৯ তারিখের আগেই তা তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে (Calcutta High Court)।
মামলার মূল অভিযোগ, মন্দিরের ট্রাস্টে অনুদান দেওয়ার জন্য যেই ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, তা রাজ্য সরকারের হিডকো অফিসের। মামলাকারীর প্রশ্ন, যদি এটি একটি সরকারি উদ্যোগ না হয়, তাহলে সরকারি ঠিকানা ব্যবহার করা হচ্ছে কেন? আর যদি সরকারই মন্দির নির্মাণ করছে, তাহলে সেটি কি সংবিধানের পরিপন্থী নয়?
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করেন এবং জানান যে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হবে। সেইমতো ক্যাবিনেট বৈঠকে একটি ২৭ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন পায়। এই বোর্ডে রয়েছেন মুখ্যসচিব-সহ রাজ্য সরকারের ১১ জন পদস্থ আধিকারিক, ইসকন, কালীঘাট মন্দির, পুরীর জগন্নাথ মন্দির ও রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিনিধি।
বিরোধীরা শুরু থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছেন। বিজেপি-সহ সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলেছেন, “একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সরকার কীভাবে নিজে মন্দির তৈরি করতে পারে?”
এই প্রেক্ষাপটে কৌস্তভ বাগচীর জনস্বার্থ মামলাকে ঘিরে দিঘার মন্দির বিতর্ক নতুন আইনি মোড় নিল বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, হাইকোর্ট এই মামলায় কী রায় দেয়।