অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন একের পর এক তথ্য সামনে আসছে পাকিস্তানের (Pakistan) সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ নিয়ে। এবার সামনে এল আরও এক জ্বলন্ত প্রমাণ—ভারতীয় সেনার ধ্বংস করা লস্কর ই তৈবা ঘাঁটির এক কম্যান্ডারের শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন পাক সেনার আধিকারিকরাও (Pakistan) , আর সেই অনুষ্ঠানে নেতৃত্ব দেন আন্তর্জাতিক নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত এক জঙ্গি (Pakistan) ।
গত ৭ মে ভোররাতে, অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের মুরিদকে শহরে লস্কর ই তৈবার এক গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। অভিযানে খতম হয় বহু শীর্ষস্থানীয় লস্কর জঙ্গি। ওইদিনই তাদের দাফন হয় মুরিদকেতেই। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনার পদস্থ কর্তা, স্থানীয় পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতারা।
সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা—সেই অনুষ্ঠানে ধর্মীয় প্রার্থনার নেতৃত্ব দেন হাফিজ আবদুর রউফ, যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষিদ্ধ জঙ্গি তালিকাভুক্ত লস্কর কম্যান্ডার। তাঁর উপস্থিতির ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় আন্তর্জাতিক প্রশ্নবাণ। ভারতের তরফে সোজাসুজি জানতে চাওয়া হয়, একজন নিষিদ্ধ জঙ্গি কীভাবে এমন একটি সরকারি আয়োজনে অংশ নেন?
পাকিস্তানের জবাব চমকে দেয় সকলকে। তারা দাবি করে, “আবদুর রউফ একজন সাধারণ নাগরিক, যিনি ওই অনুষ্ঠানে কেবল একজন ধর্মীয় নেতার ভূমিকা পালন করছিলেন।” অথচ আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নথিতে আবদুর রউফের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপ, অর্থ সংগ্রহ, এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কের একাধিক প্রমাণ রয়েছে।
এই ঘটনা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল যে পাকিস্তান কেবল ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার পক্ষেই বিপজ্জনক। তাদের সেনাবাহিনী এবং প্রশাসনের ভিতরে সন্ত্রাসবাদের ঘাঁটি কতটা গভীরে গেঁথে রয়েছে, সেটাই এখন বিশ্বের সামনে চরম স্পষ্ট।