Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • বিদেশ
  • Operation Sindoor: পাকিস্তানের মদতেই জঙ্গি ট্রেনিং দেওয়া হতো! জইশ-ই-মহম্মদের হেডকোয়াটার থেকে মিলল পাক সরকারের সঙ্গে যোগের প্রমাণ
বিদেশ

Operation Sindoor: পাকিস্তানের মদতেই জঙ্গি ট্রেনিং দেওয়া হতো! জইশ-ই-মহম্মদের হেডকোয়াটার থেকে মিলল পাক সরকারের সঙ্গে যোগের প্রমাণ

Email :5

মঙ্গলবার মধ্যরাতের ঘণ্টাখানেক পর ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করে (Operation Sindoor)। ভারত পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় (Operation Sindoor) । বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই -মহম্মদের হেড কোয়াটারের ওপর হামলা চালনা হয় (Operation Sindoor)। যেখানে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের পুরো পরিবার উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের জেরে মাসুদ আজহারের কার্যত পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে (Operation Sindoor)। মাসুদের পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছেন। আজহারের ঘনিষ্ট চার সহযোগী নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে (Operation Sindoor)।

ইতিমধ্যে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরের হেড কোয়াটারের বেশ কয়েকটি ভিডিও আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা রয়টার্সের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জইশ ই মহম্মদের হেড কোয়াটারের বাইরে একটি সরকারি সাইন বোর্ড রয়েছে। সেখানে পুরো এলাকাটিকে সরকারি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কমপ্লেক্স হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। দিল্লি এবং ওয়াশিংটন ২০০৮ সালে ভারতের মুম্বাই শহরে হামলার জন্য এলইটি-কে দায়ী করে, যেখানে ১৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিল। তবে মাসুদ আজহার তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিল।

স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, এই কমপ্লেক্সের বাকি সমস্ত ভবন অক্ষত রয়েছে। মূলত যে ভবনে লস্কর-ই-তইবার প্রধানের পরিবার থাকতেন, সেটাকেই শুধু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভারত উড়িয়ে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই কমপ্লেক্সে আবাসিক মাদ্রাসা ছিল। সেখানে ছাত্র ও কর্মী নিয়ে ৩,৫০০ জন ছিলেন। তবে পাক সরকার আগেই আশঙ্কা করেছিল, ওখানে ভারত হামলা করতে পারে। তাই সমস্ত কর্মী ও ছাত্রদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। লস্কর-ই-তইবার তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মোদীর এই আক্রমণ বর্বোরচিত। মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ জন নিহত হয়েছেন। তারমধ্যে পাঁচ জন শিশু ছিল। এছাড়াও মাসুদ আজহারের মা, স্ত্রী, দিদি, জামাই বাবুও ছিলেন। অনেকদিন মাসুদ আজহার প্রকাশ্য়ে আসেননি। বুধবারই মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যদের শেষকৃত্য করা হয়। রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসুদ আজহারের পরিবারের শেষকৃত্যে তিনি বা জইশ ই মহম্মদের উপ-প্রধান আব্দুল রউফ আসগর উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, মাসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যদের শেষকৃত্যে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। তাঁরা একাধিক ইসলামিক স্লোগান দিতে থাকেন। এই শেষকৃত্যে পাক প্রশাসনের একাধিক আধিকারিকদেরও দেখতে পাওয়া যায়। জঙ্গিগোষ্ঠীর তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, প্রথম থেকে যখন সেখানে ভারতের হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, মাদ্রাসার ছাত্রদের ও কর্মীদের এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাহলে কেন মাসুদ আজহারের পরিবার সেখানে উপস্থিত ছিল? তবে এই বিষয়ে জঙ্গি গোষ্ঠীর তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts